ক্রিকেট ব্যাট-পিৎজা কাটার-কেঁচি, একরাতেই খুনি হয়ে উঠল কিশোর!
নিউজ ডেস্ক : লেখাপড়ায় তেমন ভালো ছিল না ছেলেটা। এই তো সোমবারের কাহিনী।
বিকেলে ভারতের নইদা এক্সটেনশনের একটি চৌদ্দ তলার ফ্ল্যাটেই ছিল সবাই। সোফাল বই নিয়ে বসেছিল ছেলেটি। এটা দেখে মায়ের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। তিনি ছেলেকে ডায়নিং টেবিলে বসে পড়তে বললেন। কিন্তু কথা শুনলো না সে। রেগে গেলেন মা। এসে একটা চড় দিলেন। আবারো বললেন ওখানে গিয়ে পড়তে। তবুও কথা শুনলো না সে। মা আবারো একটা চড় বসালেন। এরপর সবই স্বাভাবিক। ওইদিন রাতেই বাড়ির পাশে এক রেস্টুরেন্টে ছেলেকে নিয়ে রাতের খাবার খেলেন মা। বাড়ি ফিরে ঘুমাতে গেলেন সবাই।
মা আর বোন যখন ঘুমিয়ে পড়েছে তখন জেগে উঠলো ছেলেটি। তার কক্ষ থেকে ক্রিকেট ব্যাটটা নিয়ে বেরিয়ে এলো। ধারালো পিৎজা কাটার এবং এক কেচি নিলো সে। চলে গেলো মায়ের কক্ষের দিকে। প্রথম আক্রমণটা করল মাকে। ঘুমন্ত মাকে খুন করা হলো। বোন জেগে উঠে চিৎকার দিল। কিন্তু সেও বাঁচতে পারলো না। রাত তখন ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময়। ষোলো বছরের এই কিশোর একরাতেই এক ভয়ংকর খুনি বনে গেলো।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ডাবল মার্ডারের আসামি সে। ভারানাসিতে পালিয়ে গিয়েছিল। চার দিন খুঁজে তার সন্ধান পায় পুলিশ।
এই কিশোর মূলত মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স এর প্রচণ্ড হিংসায় ভুগছিল সে। তার মাথায় একটা বিষয়ই কাজ করতো- মা তার চেয়ে বোনকেই বেশি ভালোবাসে।
তার বয়স এবং মানসিক অবস্থা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুন করেছে বলে স্বীকার করে। নইদা পুলিশের প্রধান, ওইদিন বিকালে মা তাকে মেরেছে। বার বার তাকে মারা হয়েছে। উঠতি বয়সের এই ছেলে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। তারা তিনজন ডিনার সেরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরে। তার বাবা ব্যবসার কাজে গুজরাটে ছিলেন। রাত ১০টার দিকে ঘুমাতে যায় তারা। এরপরই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে দেয় সে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া