জয় বলেন, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও প্রকৌশলীদের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন ভবিষ্যৎ। নতুন প্রজন্মকে এজন্য প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে।
“বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে দেওয়া হচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ভবিষ্যত পরিকল্পনা রয়েছে আইটি শিক্ষা প্রাইমারি লেভেল থেকে শুরু করার।”
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকে আইটি শিক্ষা শুরু করা ষষ্ঠ শ্রেণির চেয়ে কঠিন হবে না বলেই তার বিশ্বাস।
“এই লেভেলে লেখা শেখানো বা হোমওয়ার্কগুলো ট্যাবের (ট্যাবলেট পিসি) মাধ্যমে করা যেতে পারে। শিশুরা এগুলো খুব দ্রুত শেখে। তবে এখানে আমাদের রিসোর্স একটি চ্যালেঞ্জ। স্বল্পমূল্যে ট্যাবলেট ও কম্পিউটার দেশে তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি কয়েক বছরের মধ্যে প্রাথমিক থেকে এ শিক্ষা শুরু করা যাবে।”
২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরুর পর গত নয় বছরে দেশের ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটাল হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামীতে বেশিরভাগ সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
তার ভাষায়, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। ফলে অর্থনীতির বিকাশ ও শিল্পায়ন দ্রুততর হচ্ছে। এখন সময় এসেছে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ নিয়ে কথা বলার। বাংলাদেশও ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে।
“আগামীতে ১০ শতাংশের বেশি গাড়ি চালকহীন হবে। সরকার, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জীবনেও এর প্রভাব দেখা যাবে। আগামীর বাংলাদেশ পৃথিবীর এসব উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।”
সজীব ওয়াজেদ বলেন, বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়েই সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ সুফল পাচ্ছে বলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, “ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট, জেনেটিক এডিটিং আমরা দেখতে পাব।”
অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডাইডোন কালোম্বো এনকিলে, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা এ আলোচনায় বক্তব্য দেন।
এছাড়া ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী দীন নাথ দুঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী তারিক আলী লুথুফি, ফিলিপিন্সের আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক নেস্টর এস বোঙ্গাটা, সৌদি আরবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ ফাহাদ আলীআরাল্লাহ সম্মেলনে অংশ নেন।