‘স্ত্রীর থেকে গাধা ভালো’
---
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের রাজস্থানে নবম শ্রেণির হিন্দি পাঠ্যবইয়ে লেখা ছিল- ‘স্ত্রীর থেকে গাধারা ভালো। কারণ গাধাকে খাবার খাওয়ালে সে সারাটা দিন ধরে কাজ করে। প্রভুর কথার অবাধ্য হয় না। এমনকি কোনো অভিযোগ করে না। কিন্তু স্ত্রীরা তা করে থাকে।’
রাজস্থান শিক্ষা দফতর থেকে বইটি প্রকাশিত হয়। এ শিক্ষা দফতরের পরিচালক এ আর খান এই পাঠ্য বিষয় বস্তুর স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘মজাচ্ছলেই এই তুলনা টানা হয়েছিল। পরে বিষয়টি পাঠ্যবই থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।’
মহারাষ্ট্র বোর্ডের প্রকাশ করা দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্য বইয়ে তৃতীয় অধ্যায়ে লেখা ছিল- যদি কোনো বিবাহযোগ্যা নারী দেখতে কুৎসিত এবং বিশেষভাবে সক্ষম হন। সেক্ষেত্রে তাকে বিয়ে দেওয়াটা মুশকিলের হয়ে দাঁড়ায়। তখন পাত্র পক্ষের পণ চাওয়া হয় এবং কন্যাপক্ষ পণ দিতে বাধ্য হয়।’
মহারাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী বিনোদ তাবড়ে বলেন, সমাজের একটা কলঙ্কিত দিক নিয়ে লেখার সময় আরও যত্নবান হওয়া উচিত। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দিল্লির বহু স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির পরিবেশ বিদ্যার বইয়ে ‘লিভিং থিং’ এবং ‘নন লিভিং থিং’ বিষয়টি বোঝানো হয়। আর সেখানেই একটি নিশ্চিদ্র বাক্সে বিড়ালছানাকে ঢুকিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করার কথা বলা। যতক্ষণ না বিড়ালছানাটি মারা যায়, ততক্ষণ অপেক্ষা করার নিদানও দেওয়া হয় সেখানে।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান অ্যানিমেল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশন পাঠ্যবইয়ে প্রকাশিত এমন তথ্যের বিরোধিতা করে। এরপর ধীরে-ধীরে বহু স্কুল থেকে এসব পাঠ্য বিষয়বস্তু সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
মহারাষ্ট্র বোর্ডে ভুগোল বইয়ের একটি মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ বলে দেখানো হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। বোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ক্ষমাও চাওয়া হয়।
২০১৪ সালে গুজরাটের সরকারি স্কুলের পাঠ্যবইয়েও ছিল এমন বিতর্কিত কিছু তথ্য। সরকারি স্কুলের ক্লাস সেভেনের সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে বলা হয়েছিল- ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল।’ এমনকি ওই একই পাঠ্যবইয়ে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর তারিখটিও ভুল ছাপা হয়েছিল।