রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা যেন পর্যবেক্ষক না হয় : সিইসি
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা যাতে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে সিইসি এ আহ্বান জানান। বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার অন্তত ২৮ জন প্রতিনিধি এই আলোচনায় অংশ নেন। সংলাপে সূচনা বক্তব্যে পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশ্যে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি যেন নির্বাচন পযবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না পায়, সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি পর্যবেক্ষকদের ‘পক্ষপাতহীন ও নিরপেক্ষভাবে’ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং তাদের দায়িত্ব পালনকালে সামগ্রিকভাবে ভোট কার্যক্রম যেন বাধাগ্রস্ত না হয়- সে দিকে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করেন। তবে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দলের হয়ে পর্যবেক্ষকদের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কয়েকটি পর্যবেক্ষক সংস্থা।
সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, “আমরা আপনাদের পরামর্শ নিচ্ছি। যাদেরকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে মাঠে পাঠাবেন, তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবেন বলে আশা করি।
এ বিষয়ে জানিপপের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমরা একটা সুষ্ট নির্বাচন দাবি করেছি। আর এর জন্য পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছি। বলেছি, ইসির নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকদের টিওটি করানোর। তবে প্রতিটি সংস্থা নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করবে। যারা নিয়মিত রিপোর্ট না করে বা মাঠে যায় না তাদের চিহ্নিত করে নিবন্ধন বাতিলের আহ্বাণ জানান তিনি। তবে যদি কোন সংস্থা বিদেশী অর্থায়নে কোন দলের হয়ে কাজ করে তাদের চিহ্নিত করে নিবন্ধন বাতিলের কথাো বলেন তিনি।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ-ইডাব্লিউজির পরিচালক মো. আলীম বলেন, দলের হয়ে পর্যবেক্ষকদের কাজ করার অভিযোগ আমরা অনেকেই অস্বীকার করেছি। যদি কেউ করে তা মনিটরিং করে তার নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশও করেছি । এছাড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে কোন একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে ওডিট করানো প্রয়োজন।তাহলে ভোটার তালিকা নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন থাকবে না। আর প্রতি বছর একই দিনে ভোটার হালনাগাদের আহ্বান জানিয়ে এ দিনটিকে ভোটার দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানান তিনি।
ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেন, পর্যবেক্ষকদের বয়সষীমা ২০-২৫ বছর করতে প্রস্তাব দিয়েছি ইসিকে। এছাড়া লোকাল ওবজারভারদের স্থাণীয়ভাবে সুযোগ দেয়া উচিৎ। নির্বাচনে ইভিএম না চালুর কথা বলেছে ফেমা।