টানা বর্ষণে ক্ষতির সম্মুখীন কয়েক শতাধিক চাতালকল
---
বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বৈরী আবহাওয়ার কারনে গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে বসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার কয়েক শতাধিক চাতালকল। আর এতে স্বাভাবিক চাল উৎপাদন অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। চাতাল মালিকদের পাশাপাশি খেঁটে খাওয়া দিনমজুররা পড়েছেন বেশ বিপাকে। এতে করে” কাজের বিনিময়ে মজুরি “এরকম কয়েক হাজার শ্রমিক অনাহার আর অর্ধাহারে দিন পার করছেন।সব মিলিয়ে আবার চালের বাজারে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন চাতাল মালিকসহ চাল ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে আনুমানিক ৪শতাধিক মত চাতালকল রয়েছে।এসবর চাতালকলে টানা তিন দিনের টানা বর্ষণের কারণে সিদ্ধ করা ভিজিয়ে রাখা প্রায় লক্ষাধিক টন ধান রোদ্রের কারনে শুকানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চাল উৎপাদন।ধান থেকে চাল উৎপাদন এরকম ধান চাতালগুলোতে মাঠে ঢেকে এবং হাউজে ভিজিয়ে রাখার কারণে নষ্ট হচ্ছে। অনেক চাতালে ভিজিয়ে রাখা ধান দুর্গন্ধ হয়ে চাল করার অবস্হা অনেকটাই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে,প্রাকৃতিক দূর্যোগ এরকম এহেন পরিস্হিতির কারনে অতিরিক্ত ভিজানো ধান শুকিয়ে চাল উৎপাদন করলে তাতে চালের মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দুর্গদ্ধ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তখন এসব চাল বিক্রি করতেহবে বাজারের স্বাভাবিক দরের চেয়ে অনেক কম দামে। এতে চাতাল মালিকদের মোটা অংকের মানে কয়েক কোটি টাকা র লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এমনিতে চালের বাজার বাড়তি তাতে নতুন করে প্রভাব পড়তে পারে।
আশুগঞ্জ চাতাল কল মালিক সমিতির সূএ জানায়, ধান সংকটের কারণে ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক চাতালকল। আবার ১২/১৩শ টাকা দরে বাজার থেকে ধান কিনে এখন টানা বৃষ্টির কারণে তা নষ্ট হচ্ছে। জানিনা এবছর আমাদের ভাগ্যে কি আছে।এছাড়া গত তিন দিনের কয়েকহাজার শ্রমিক কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে বসে আছে।চাতাল কল মালিকরা নিজেরাই এমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্চেন তাতে দিনমজুর শ্রমিকদের আর্থিক ভাবে কোনরকম সহযোগিতা করতে পারছিনা।