সাব্বিরের ব্যাটিংয়ে উদ্ধার
---
স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিফটি পেয়েছিলেন। ছন্দটা সাব্বির রহমান ধরে রেখেছেন বেনোনিতে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও। ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকও। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছেন তিনজনই। ৭ উইকেটে ৩০৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
ব্যক্তিগত ৫ রানে তামিম ইকবাল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়েসের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ৭৩ রান যোগ করে বাংলাদেশকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছেন। কিন্তু ৮ রানের মধ্যে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এই ধাক্কাটা বাংলাদেশ সামলেছে মুমিনুল-মুশফিকের চতুর্থ উইকেট তোলা ১১৯ রানের জুটিতে সওয়ার হয়ে।
কিন্তু ৪৮ ও ৫০তম ওভারে মাইকেল কোহেনের বোলিং তোপে এলোমেলো বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। ৪৮তম ওভারে টানা দুই বলে মুমিনুল (৬৮) ও মাহমুদউল্লাহকে (০) আউট করে হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন কোহেন। সেটি না হলেও পরের ওভারে ১৯ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার আরেকটা ধাক্কা দেন বাংলাদেশকে। তিন বলের মধ্যে কোহেন তুলে নেন মুশফিক (৬৩) ও লিটন দাসকে (০)। ২ উইকেটে ২১১ থেকে হঠাৎই বাংলাদেশের স্কোরটা হয়ে যায় ৬ উইকেটে ২২০।
বাংলাদেশ তবুও যে ৩০৭ রান করতে পারল সেটি সাব্বিরের সৌজন্যে। ফিফটি করেছেন বোকাকোকে বাউন্ডারি মেরে। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুর্দান্ত কিছু করার বার্তা দিয়ে রাখলেন সাব্বির। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ২১ রান।
দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা মুমিনুল বললেন, নিজের ইনিংস নিয়ে তৃপ্ত না হলেও দলের ব্যাটিং সন্তুষ্ট হওয়ার মতোই, ‘আমি ফিফটি নিয়ে সন্তুষ্ট নই। যদি অপরাজিত থাকতে পারতাম, নতুন বলটা খেলতে পারতাম তবে বেশি ভালো হতো। তবে সব মিলিয়ে এই কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানরা ভালো করেছে, মানিয়ে নিতে পেরেছে।’