মালয়েশিয়ায় সু চি ও সেনাপ্রধানের বিচারের রায় শুক্রবার
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক গণআদালতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াংসহ অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে ওই আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
আদালতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, কাচিন, কারেনসহ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এ অভিযোগ আনেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
শুনানিতে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকারকে অভিযুক্ত করেন।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে শুনানিতে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানান, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। এসময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বর নিপীড়নের নানা চিত্র তুলে ধরেন তারা।
সাত সদস্যের প্যানেলে রয়েছেন- ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আর্জেন্টিনায় সেন্টার ফর জেনোসাইডের প্রতিষ্ঠাতা দানিয়েল ফিয়েরেস্তেইন, গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী আয়ারল্যান্ডের ডেনিস হেলিডে, ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত-প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা মালয়েশিয়ার জুলাইহা ইসমাইল, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কাজ করা পিপিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কম্বোডীয় আইনবিদ হেলেন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনির মেকুইয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক প্রধান গিল এইচ বোয়েরিঙ্গার, ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী নুরসিয়াবানি কাতজাসুংকানা, ইরানের মানবাধিকার আইনজীবী সাদি সদর এবং ইতালির সুপ্রিমকোর্ট অব ক্যাসেসনের বর্তমান সলিসিটর জেনারেল নিলও রেসি।
পিপিটি মালয়েশীয় সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর জানান, পাঁচ দিনের অধিবেশনে বিচারকরা প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার-বিশ্লেষণ করেই শুক্রবার তারা রায় ঘোষণা করবেন।
সুচিই প্রথম কোনো নোবেল জয়ী যিনি ব্যতিক্রমী এ আদালতে বিচারের সম্মুখীন হলেন। এ রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে সু চির দণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।