রাম রহিমের ডেরায় ৬০০ কঙ্কাল
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ডেরা সচ্চা সৌদায় প্রায় ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হরিয়ানার সিরসায় রাম রহিমের ডেরার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পি আর নাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সম্প্রতি রাম রহিমের ডেরার ব্যবস্থাপক বিপাসনা ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পি আর নাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)।
বুধবার ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে পি আর নাইন বলেছেন, ডেরায় হত্যার পর প্রায় ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। জার্মানির একজন বিজ্ঞানীর পরামর্শে মাটিচাপা দেয়া ওই কঙ্কালগুলোর ওপর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
বিশেষ তদন্ত দলকে দেয়া জবানবন্দির সপক্ষে পি আর নাইন ও বিপাসনা যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগেও, ডেরা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল- বাবা তার ভক্তদের মৃতদেহ আশ্রমে সমাধিস্থ করার পরামর্শ দিতেন। সে জন্য ভক্তরা তাদের মৃতদেহ ডোনেট করতেন। মৃতদেহ যেখানে সমাধিস্থ করা হত সেখানে নতুন একটি গাছ লাগানো হত। তবে ডেরার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন অনেক ব্যক্তির অভিযোগ, যারা বাবা রহিমের বিরোধিতা করতেন তাদের খুন করে আশ্রমের জমি পুঁতে দেয়া হত।
রাম রহিমের অনুসারী এক নারীর অভিযোগ, ১২ বছর আগে দুই মাস বয়সী সন্তানকে ডেরায় সেবার জন্য পাঠিয়ে আর কোনো খোঁজ পাননি।
দুই নারী শিষ্যকে ধর্ষণের দায়ে ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয় ভারতের হরিয়ানার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এরপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে স্বঘোষিত এ ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। তার ডেরায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গর্ভনিরোধক বা যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ পাওয়া যায়।
ডেরার ভেতরে সাধ্বী হোস্টেলে যাতায়াতের জন্য দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল রাম রহিম। এছাড়া, তার ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই ‘যৌন গুহা’ গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান রাম রহিম। সেখানে নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন তিনি।