ফিরলেন মুমিনুলও, বাংলাদেশের লিড ৭৮
---
স্পোর্টস ডেস্ক : লড়তে লড়তে অবশেষে হার মানলেন মুশফিক। এবার শিকারী প্যাট কামিন্স। দলীয় ১২৯ রানে ম্যাথু ওয়েডের তালুবন্দি করে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফেরালেন তিনি। ফেরার আগে মুমিনুলকে নিয়ে ভালোই লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক।
মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল ২৮ রান করে ফিরে গেছেন তিনিও।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৫০ রান করেছে বাংলাদেশ। এতে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়িয়েছে ৭৫ রান। মিরাজ ৯ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আবারো ফ্লপ সৌম্য সরকার (৯)। শুরুতেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। দলীয় ১১ রানে প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ম্যাট রেনশোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ ওপেনার। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল পা না বাড়িয়ে খেলার মাশুল দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। তাকে নিয়ে যেখানে ধীরে সুস্থে খেলার কথা তামিমের, সেখানে খেলেন তেড়েফুড়ে। এর খেসারতও দিতে হয়েছে তাকে। দলীয় ৩২ রানে নাথান লায়নের বল ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে ম্যাথু ওয়েডের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২ চারে ১২ রান করেন এ ড্যাশিং ওপেনার।
তামিম ফিরে গেলে যাওয়া-আসার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৩৭ রানে একবারে বাজে শট খেলে ফেরেন ইমরুল কায়েস (১৫)। লায়নের বলে তার শটে না ছিল পায়ের ব্যবহার, না ছিল জোর। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে একস্ট্রা কাভারে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করান তিনি।
দলীয় স্কোর বোর্ডে আর ২ রান যোগ হতেই ফেরেন সাকিব আল হাসান (২)। দারুণ বোলিং করা লায়নেরর বেরিয়ে যাওয়া বলে দ্বিতীয় স্লিপে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এতে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
তবু যেনো তর সইছিল না নাসির হোসেনের (৫)। খেলছিলেন হুজুগে সব শট। এর চরম মূল্যও গুনতে হয় তাকে। স্টিভ ও কেফির স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বল অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন । তা না করে পা বাড়িয়ে খেলতে যান। ঠিক মতো খেলতে না পারায় তা ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে তা সহজেই তালুবন্দি করেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
মাত্র ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের। তবে মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে তা কাটিয়ে উঠে টাইগাররা। পরে দু’জনে লড়াইয়ের আভাস দেন। তারা এগুচ্ছিলেনও বেশ। কিন্তু হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলেন সাব্বির (২৪)। দলীয় ৯৭ রানে লায়নের বলে ওয়েডের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন এ হার্ডহিটার। ফেরার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
তৃতীয় দিনের ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তবে ক্যারিশমা দেখান বাংলাদেশের বোলাররা। কোনো রান যোগ করতে না দিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন তারা।
অজি শিবিরে শেষ পেরেক মারেন মুস্তাফিজুর রহমান। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে নাথান লায়নকে ফিরিয়ে দেন কাটার মাস্টার। তার বলে স্লিপে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন লায়ন। তার বিদায়ে ৩৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এতে ৭২ রানের লিড পায় সফরকারীরা।
এ নিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। এর আগে ম্যাট রেনশো, ডেভিড ওয়ার্নার ও ম্যাথু ওয়েডের উইকেট শিকার করেন বোলিং বিস্ময়। তৃতীয় দিন আড়াই ঘণ্টার বেশি খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যায়। এ কারণে এদিন নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগে খেলা শুরু হয়। চতুর্থ দিন ৯৮ ওভার খেলা হওয়ার কথা।