মৃত্যুদণ্ড বহাল নূর হোসেন ও তারেক সাঈদসহ ১৫ আসামির
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার হাইকোর্টের রায়ে প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তারেক সাঈদসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড রহাল রয়েছে। এছাড়া রায়ে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুন মামলায় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। গত ২২ মে আলোচিত এ সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরু হওয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুন মামলায় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা কারাগারে আটক রয়েছেন তারা হাইকোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন দায়ের করেন। এ ছাড়া নিম্ন (বিচারিক) আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠান হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন।