‘চাইলে পাঁচদিনের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারি’
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ট্রাম্প বাতিল করলে ইরান পাঁচদিনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রাখে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানি কর্মসূচি বিষয়ক প্রধান।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পরামাণু বিষয়ক প্রধান আলি আকবর সালেহি চলতি মাসে তার দেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো বিষয়ে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সালেহি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এ ধরনের কিছু ঘটুক- তা চাই না। আমরা খুব সহজে চুক্তিটি অর্জন করতে পারিনি। এর প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিদ্ধ এবং চুক্তিটির ওপর আমাদের আস্থা আছে।’
সালেহি আরো মন্তব্য করেন, ২০১৫ সালের ওই চুক্তি একবার বাতিল করা হলে যুক্তরাষ্ট্র অবাক হয়ে যাবে ইরান কত দ্রুত তার স্টক পুনর্নির্মাণ করতে পারবে। তার ভাষায়, ‘যদি আমরা প্রতিজ্ঞা করি, পাঁচদিনের মধ্যে ২০ শতাংশ পরমাণু উপাদান আবার ফিরে পেতে পারি।’ একটি পরমাণু বোমা বানাতে এই পরিমাণ ইউরেনিয়ামই যথেষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মতে, ওই হার ইরান পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনবে। ইরানের মডারেট প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত হাসান রুহানি চলতি মাসের শুরুর দিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইরান চাইলে পরমাণু সক্ষমতা বাড়াতে পারে। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মার্কিন হুমকি তার দেশকে পরমাণু বোমা তৈরির সুযোগ করে দেবে। একব ঘণ্টার মধ্যেই ইরান তার পূর্ব অবস্থানে ফিরে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন দেশটির এই প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের সঙ্গে একটি পরামাণু চুক্তি সম্পাদন করে ছয় বিশ্বশক্তি। এরা হচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন এবং জার্মানি। ওই বছরের ২৬ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত এক আলোচনার পর চুক্তিটি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুসারে, ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনবে। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে পশ্চিমা দেশগুলো।
চলতি মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়। এছাড়া যারা দেশটির পরমাণু কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, তাদের ওপরও অবরোধের হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকেই ওই চুক্তি নিয়ে চলছে উত্তেজনা।