এসির নিচে যত বিপদ
---
আবহাওয়ার উত্তাপ ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছে এই সময় এসি ছাড়া ঘুম প্রশ্নই আসে না। আমরা সারা দিন অফিসে এবং সারা রাত বাসায় এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) রুমগুলিতে থাকি। এই ধরনের ঠান্ডা তাপমাত্রা শরীরের ঘাম থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে এবং শরীরকে ঠাণ্ডা করবে কিন্তু তা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এখানে আমরা দেখবো যখন আপনি সারা রাত এসির নিচে ঘুমাবেন তখন শরীরের কি বিপদ ঘটতে পারে।
যখন আপনি একটি বদ্ধ এবং এসি যুক্ত ঘরে ঘুমাবেন তখন তিনটি জিনিস প্রাথমিকভাবে ঘটবে:
১। ঘরে তাজা বাতাসের চলাচলের অভাব দেখা দিবে। কারণ এসি চালানোর সময় আমরা সাধারণত ঘরের সকল দরজা, জানালা এবং ভেন্টিলেটর বন্ধ করে দেই যাতে বাইরের গরম বাতাস ভিতরে ঢুকতে না পারে।
২। অনেক সময়, যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের আশেপাশের তাপমাত্রা আমাদের শরীরের সহনশীলতা থেকে নিচে নেমে যায়। আমরা যখন জেগে থাকি তখন ঘরের তাপমাত্রা বেশি কমে গেলে এসি বন্ধ করে দেই কিন্তু ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তা সম্ভব হয় না।
৩। এসি ঘরে বাতাসের সকল আদ্রতা এবং সাথে সাথে আমাদের শরীরেরও আদ্রতা শুষে নেয়।
এসি যুক্ত ঘর আমাদের শরীরের জন্য যে তিনটি বিপদ ডেকে আনে-
১। তাজা বাতাসের অভাব আপনার মধ্যে চিরস্থায়ী ক্লান্তির অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। যারা দিনেও এসি ছাড়া চলতে পারেন না তাদের অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে। এর ফলে আপনার ‘সিক বিল্ডিং সিন্ড্রোম‘ নামের অসুস্থতা বাড়তে পারে।
শুধু তাই নয়, যদি সময় মত এসি পরিষ্কার না করা হয় তবে আপনি শ্বাস কষ্টেও ভুগতে পারেন। এর কারণ হল আপনার এসি ছত্রাক,ব্যাকটেরিয়া এবং মোউল্ডসের জন্ম দিবে।
২। নিম্ন তাপমাত্রার কারণে মাথাব্যথা এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে। তাপমাত্রা শরীরের সহনশীলতা থেকে নিচে নেমে গেলে হাড়ের জোড়ায় জোড়ায় এবং পেশীতে ব্যথা হতে পারে। এমন কি এটি বাতের ব্যথায় রূপ নিতে পারে।
৩। এসি আপনার আশপাশের আদ্রতার সাথে সাথে শরীরের আদ্রতাও শুষে নেয়। এর ফলে শরীরের ত্বক নমনীয়তা হারায় এবং হয়ে উঠে রুক্ষ ও খসখসে। এটি আপনার চোখেরও আদ্রতা শুষে নিতে পারে ফলে চোখ লাল হয়ে যায়।