ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কার্যক্রমের অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও ট্রেজারি মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে ইরানের বিত্তবান ১৮ নাগরিক, গোষ্ঠী ও নেটওয়ার্ক।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কোনো সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে তা জব্দ করা হবে এবং তাদের সঙ্গে আমেরিকানদের ব্যবসা করা নিষিদ্ধ করা হবে।
আলজাজিরা ও প্রেসটিভি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানকে ড্রোন তৈরিতে সাহায্যকারী একটি কোম্পানি, নৌরসদ সরবরাহকারী তুরস্কের একটি প্রতিষ্ঠান ও ইরানকে ইলেক্ট্রনিক্স সরবরাহকারী একটি চীনা নেটওয়ার্ক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন জানিয়েছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরানকে ‘কঠোর সংকেত’ দেবে। তা হলো- ‘ইরানের উসকানিমূলক ও অস্থিতিশীল আচরণ যুক্তরাষ্ট্র কখনো সহ্য করতে পারে না এবং করবেও না।’
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার মার্কিন কংগ্রেসে ইরানকে পরমাণু চুক্তি মেলে চলার স্বীকৃতি দিলেও ঠিক তার একদিন পর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা শোনালো যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি হয়। এ চুক্তির অন্য দেশগুলো হলো : রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।
সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসকে জানায়, ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে। এপ্রিল মাসেও কংগ্রেসকে এমন তথ্য দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু চুক্তির গতিশীলতায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে সোমবার তাদের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয় তারা।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে প্রতি ৯০ দিন পর কংগ্রেসেকে অবহিত করা হোয়াইট হাউসের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে এপ্রিল মাসেই প্রথমবার এ ইস্যুতে অবহিত করা হয় এবং চুক্তি মেনে চলায় ইরানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।