g ক্যান্সার-ডায়াবেটিস দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে কেন হয় ? | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২০শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৫ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সার-ডায়াবেটিস দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে কেন হয় ?

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৭, ২০১৭

---

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুধুমাত্র অফিসের ডেস্কে বসেই অনেকটা সময় কাটান অনেকে। বাড়িতে ফিরেও ক্লান্তি লাগলে এবং টিভি দেখার কারণেও অনেকে একটানা বসে থাকেন। আপনি কি জানেন এতে আপনি নিজেই নিজের মারাত্মক ক্ষতি করছেন।সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে শারীরিক নানা সমস্যাই বলে দেবে স্থায়ীভাবে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে আপনার দেহের।

জেনে নিন একটানা বসে থেকে নিজের কী ক্ষতি করছেন আপনি।
১. অতিরিক্ত সময় একটানা বসে থাকার কারণে আপনার দেহের কোনো শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে না। এতে করে আপনার দেহের সঠিক কার্যকলাপ ব্যহত হচ্ছে। এর ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার দেহ বুড়িয়ে যাবে৷
২. একটানা বসে থাকার ফলে দেহের নিচের অংশের স্বাভাবিক কার্যকলাপ একেবারেই ব্যহত হয়। সেইসাথে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের ওপর পড়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব। স্বাভাবিক খাদ্যহজম প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় এর ফলে হজমে সমস্যার কারণে দেহে নানা ধরণের সমস্যা হওয়া শুরু করে।
৩. মেরুদণ্ডের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে যখন আপনি অনেক বেশি সময় একটানা বসে থাকেন। মেরুদণ্ডের জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনেক বেশি।
৪. একটানা বসে থাকার ফলে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও সমস্যা দেখা দেয়। যারা একটানা বসে কাজ করতে থাকেন তাদের নানা ধরণের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন, হ্যালুসিনেশন, চিন্তা ক্ষমতা লোপ পাওয়া, বুদ্ধি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
৫. গবেষণায় দেখা যায় যারা একটানা বসে থাকেন এবং শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই করেন না তাদের দীর্ঘমেয়াদী হৃদপিণ্ডের সমস্যা, উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়বেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ বাসা বাঁধে দেহে।
৬. বাতের ব্যথা অন্যান্য জয়েন্টে ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে একটানা বসে থাকা।
৭. একটানা বসে থাকার কারণে শারীরিক পরিশ্রম হয় না বলে মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়ে যায়।
৮. শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই হয় না বলে দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৯. একটানা বসে কাজ করার ফলে সবচাইতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে আপনার কিডনি। একটানা বসে কাজ করার ফলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন পুরুষদের চেয়ে প্রায় ৩০% বেশি।

এ জাতীয় আরও খবর