রোদ থেকে ত্বক বাঁচাতে করণীয়
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক : যদিও এখন বর্ষাকাল তবু সূর্যের রাগী রাগী চেহারাটা বেশ দেখা যাচ্ছে। রোদের প্রখরতা গ্রীষ্মকালের চেয়ে মোটেও কম নয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি আমাদের ত্বকে প্রভাব ফেলে। সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম পারে এর থেকে রক্ষা করতে। সকালে অবশ্যই ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এরপর বাইরে যাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিমের এসপিএফ ৩০-৫০ হওয়া উচিত। এটি দেখে কিনতে ভুলবেন না।
প্রতিদিনের কমপ্যাক্ট পাউডারটিও যেন অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধক হয়। চোখ রোদের উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই রোদচশমা ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে ছাতা রাখুন সঙ্গে। আসল কথা হলো, গরমে ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে ঘাম ও ধুলাময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। ব্রণের প্রকটতা দেখা দেবে।
পাকা পেঁপে বলিরেখা কমাতে বেশ কার্যকর। হাতের কাছে পাকা পেঁপে পাওয়া না গেলে ডিমের সাদা অংশ মুখে মাখিয়ে তার ওপর টিস্যু পেপার রেখে না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে টেনে তুলে ফেলুন। মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ঝাপটা দিতে হবে।
মেছতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শই নেয়া উচিত। তবে বাড়িতে বসে অ্যালোভেরা জেলের পেস্ট ও মধুমিশ্রিত প্যাক করতে পারেন। অ্যালোভেরা বাজারে কিনতে পাবেন ঘৃতকুমারী নামে। এ ছাড়া তেঁতুলের রস ও মধু মেছতা কমাতে সাহায্য করবে।
রোদের কারণে অনেক সময় ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়। এ ছাড়া চোখের নিচেও কালচে ভাব হয়। এ সমস্যা এড়াতে আলুর রস খুব উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। দুধ, মধু ও আলুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে শসা বা গাজরের রস, গোলাপজল, মুলতানি মাটিমিশ্রিত প্যাক লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ভালো ক্লেনজার হিসেবে কাজ করে।
সাধারণ ও শুষ্ক ত্বকে মধু, মসুর ডালের গুঁড়া ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। মুখে ও গলায় আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। তবে তৈলাক্ত ত্বকে দুধ ব্যবহার করবেন না। এর পরিবর্তে তিলের পেস্ট মেশাতে পারেন। দুই সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাব কমে যাবে।
লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করুন। তাহলে তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া বাইরে থেকে ফিরেই ভালোভাবে পানির ঝাপটা দিন মুখে। বাজারে ভালোমানের ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক সতেজ রাখতে খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে। রসাল ও তাজা ফল খাবেন বেশি করে।