g বিশ্বের যে ১১টি শহরের বাণিজ্যিক ভবনগুলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ২১শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৬ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের যে ১১টি শহরের বাণিজ্যিক ভবনগুলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৫, ২০১৭

---

নাইট ফ্র্যাঙ্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি বিশ্বের কোন কোন শহরের ভবনগুলোর স্পেস কিনতে বা ভাড়া নিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয় তা নিয়ে একটি নতুন গবেষণা চালায়। ফলে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাণিজ্যিক ভবনগুলো কোন কোন শহরে অবস্থিত তার একটি তালিকা করা সম্ভভ হয়। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন শীর্ষ ১১টি শহরের নাম:

১১. সাংহাই- প্রতি বর্গফুট ১,২৫০ মার্কিন ডলার

একটি বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র হওয়ায় সাংহাইয়ের আকাশচুম্বী ভবনগুলোরও চাহিদাও অনেক। শহরটি চীনের সবচেয়ে উঁচু ভবনের অধিকারী। এখানেই রয়েছে ৬৩২ মিটার উঁচু ও ১২৮
তলার সাংহাই টাওয়ার। ২০১৫ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বিদেশি বিনিয়োগের ভিত্তিতে করা নাইট ফ্র্যাঙ্কের শীর্ষ দশ সুপার সিটির তালিকারও পাঁচ নম্বরে রয়েছে সাংহাই।

১০. ফ্র্যাঙ্কফুর্ট- প্রতি বর্গফুট ১,৪০০ ডলার

ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পর লন্ডনের অনেক ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কম্পানিই জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজধানী হিসেবে খ্যাত এই শহরটিতে গত কয়েক বছর ধরেই বহুতল ভবন নির্মাণের হিগিক পড়েছে। এর অন্তত ৩০টি ভবন ১০০ মিটারের চেয়ে বেশি উঁচু।

৯. তাইপেই- প্রতি বর্গফুট ১,৬০০ ডলার

তাইপেই শহরে দ্রবমূল্য অনেক বেশি। তবে সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে বেচাকেনা কম। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী দুই বছরে শহরটির আকাশচুম্বী ভবনগুলোর স্পেসের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। কারণ বিশ্ব বাণিজ্যের বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী দেখাচ্ছেন। চলতি জুলাইয়ের শুরুতে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল তাইওয়ানের তাইপেই ১০১ ভবনে এর প্রথম স্টোরটি চালু করেছে।

৮. বোস্টন- প্রতি বর্গফুট ১,৭০০ ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এখন ঘটে চলেছে শহরটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভবন বুম। শহরটিতে ৭৭৫ ফুট উঁচু একটি শতকোটি ডলারের ভবন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া শতকোটি  ডলার ব্যায়ে আরো অসংখ্য বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।

৭. সিঙ্গাপুর- প্রতি বর্গফুট ১,৯০০ ডলার

নাইট ফ্র্যাঙ্কের দশ সুপার সিটির আরেকটি সিঙ্গাপুর। আর ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্টকারী শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায়ও একটি পঞ্চমস্থানে রয়েছে।

জাপান একাই সিঙ্গাপুরের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ৪.৫১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মাত্র গত দশ বছরে। ব্যাঙ্কিং ফার্ম ডেকা চেভন টাওয়ারটি গত সপ্তাহে বিক্রির জন্য নিলামে তুলেছে। ২০১০ সালে গোল্ডম্যান স্যাকস এর কাছ থেকে ৪২০ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিল ভবনটি।

৬. সিডনি- প্রতি বর্গফুট ২০০০ ডলার

বিশ্ব বাণিজ্যে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি পড়ায় আগামী দুই বছরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বহুতল ভবনগুলোর স্পেসের দাম বাড়বে দ্রুতগতিতে। ২০১৬ সালে বিদেশি বিনিয়োগের নিরিখে শীর্ষ দশ শহরের তালিকায় ৭ম হয়েছে সিডনি। এছাড়া ব্যক্তিগত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস এবং সিডনি যৌথভাবে প্রথম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত বিনিয়োগের ৪১% এই শহরের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।

৫. লন্ডন- প্রতি বর্গফুট ২,৪৫০ ডলার

রাতের আকাশ থেকে লন্ডনের কেন্দ্রস্থলের একটি ছুবি তুললে এইচএসবিসি ভবনটিকে জ্বলজ্বল করতে দেখা যায়। ২০১৬ সালে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণের ভিত্তিতে করা সুপার সিটির তালিকায় লন্ডন ২য় স্থান দখল করেছিল।

তবে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে লন্ডন বাণিজ্যিক খ্যাতি হারাতে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরুতে লন্ডনের ‘চিজগ্রেটার’ ভবনটি বিক্রি হয়েছে ১০০ কোটি পাউন্ডে।

৪. সান ফ্রান্সিসকো- প্রতি বর্গফুট ২,৫০০ ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের নাসফ্রান্সিসকো শহরের ভবনঘন আকাশ আরো ঘন হয়ে উঠছে। শহরটির সবচেয়ে উঁচু ভবন ৬১ স্টোরির সেলসফোর্স টাওয়ার। চলতি গ্রীষ্মেই ১০০ কোটি ডলারের এই ভবনের কাজ শেষ হবে।

শহরটির আরেকটি আকাশচুম্বী ভবন মিলেনিয়াম টাওয়ার নির্মাণের সময়ই ১৬ ইঞ্চি দেবে। ফলে ২০০৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে এর নাম রাখা হয় দুই ইঞ্চি ভবন। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। আর এর দেয়ালগুলোকে অগ্নিঝুঁকির দেয়াল খেতাব দেওয়া হয়।

৩. নিউ ইয়র্ক (ম্যানহাটন)- প্রতি বর্গফুট ৩,৭০০ ডলার

সম্প্রতি যেন ফের শহরটিতে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। আর এ ক্ষেত্রে ভবনের উচ্চতা সম্পর্কিত সীমাও মানতে চাইছেনা নির্মাতারা। ২০১৬ সালে বিদেশি বিনিয়োগের নিরিখে শীর্ষস্থানে ছিল নিউইয়র্ক।

২. টোকিও- প্রতি বর্গফুট ৪,৯০০ ডলার

২০২০ সালের অলিম্পিক গেমসের আগেই টোকিওতে আরো ৪৫টি আকাশচু্ম্বী ভবন নির্মিত হবে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নিম্ন গতি এবং বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহরটির আবাসন বিনেয়োগকারীরা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।