নির্যাতিত হাওয়া আক্তারের কাহিনী এখন বিশ্ব মিডিয়ায়
---
অনলাইন ডেস্ক : হাওয়া আক্তার (২১)। ঢাকার একজন গৃহবধূ। সংসার সামলানোর পরও পড়াশুনায় ইতি টানতে চাননি। তবে, উচ্চশিক্ষিত হওয়ার প্রবল ইচ্ছার কারণে ডান হাতের আঙ্গুলগুলো হারিয়েছেন তিনি। আর তরুণী এই গৃহবধূর সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ করেছেন তারই পাষণ্ড স্বামী। সেই হাওয়া আক্তারের নির্যাতনের কাহিনী এখন দেশের সীমানা ছাপিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে।
ডেইলি মেইলের খবর, ডিগ্রি পড়তে চাওয়ার কারণে ডান হাতের ৫টি আঙ্গুলই হারানো হাওয়া আক্তারের ইর্ষাণ্বিত স্বামী রফিকুল ইসলামকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি জানাচ্ছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী রফিকুল ইসলাম আগেই হাওয়া আক্তারকে হুমকি দেয়, যদি সে পড়াশুনা বন্ধ না করে তাহলে তার জন্য খারাপ ফল অপেক্ষা করছে। হাওয়া আক্তার বলেন, দেশে ফেরার পর সে আমার কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চায়।
খবরে বলা হয়, এরপর হঠাৎসারপ্রাইজ দেয়ার কথা বলে তার চোখ বেঁধে ফেলে। মুখ আটকে দেয় স্কচটেপ দিয়ে। এরপরই সারপ্রাইজের পরিবর্তে সে হাওয়ার হাত বের করতে বলে। হাওয়া হাত বের করার সঙ্গে সঙ্গে ডান হাতের ৫টি আঙ্গুলই কেটে ফেলে। এসময় রফিকুল ইসলামের এক নিকট আত্মীয় আঙ্গুলগুলো একটি ডাস্টবিনে নিয়ে ফেলে দেয়, যাতে চিকিৎসকরা আর বিছ্ন্নি আঙ্গুলগুলো জোড়া লাগাতে না পারেন।
এই অপরাধে ইতোমধ্যে রফিকুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, হাওয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে অঙ্গহানির অভিযোগ আনা হবে। তবে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি জানিয়ে আসছে।
মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আরও বলেন, হাত হারানোর পরও পড়াশোনা চালিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর হাওয়া আক্তার হাসপাতাল থেকে ফিরে গেছেন পিতা-মাতার সংসারে।
সবশেষে ডেইলি মেইল লিখেছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে শিক্ষিত নারীদের টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের এটি সর্বশেষ সংযোজন।