রাঙামাটিতে ফের পাহাড় ধস
---
প্রবল বর্ষণে ব্যাপক হতাহতের তিন সপ্তাহের মধ্যে রাঙামাটিতে ফের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়িতেও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে সদর উপজেলার মানিকছড়ির দেপ্পোছড়িতে একটি পাহাড় ধসে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ কারণে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।
রোববার রাত থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনও ভারি কখনও হালকা বর্ষণ হলেও সম্পূর্ণ থামেনি।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যা থেকে মাইকিং করে সতর্ক করছে।
গত ১২ জুন রাতে প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামসহ দেশের ছয় জেলায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২০ জন মারা যায় রাঙামাটিতে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, “পাহাড় ধসের পর আমরা দ্রুত ধসে পড়া মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করি।”
রাঙামাটির শিমুলতলীতে ধসের ফাইল ছবি রাঙামাটির শিমুলতলীতে ধসের ফাইল ছবি
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলায় পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র গত বর্ষণে খোলা হয়েছিল। প্রয়োজন হলে আবার সে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, তিনি সোমবার সকালে জেলা শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ, আঠার পরিবার এলাকা পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যেতে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে, রাঙামাটিতে বর্তমানে চালু থাকা ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র গুটিয়ে চারটি করা হবে। পাহাড় ধসে গৃহহীন লোকজনকে স্থানান্তর করে ওই চারটিতে স্থানান্তর করা হবে বলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাঙামাটি স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস কেন্দ্রে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, রাঙামাটির পাহাড় ধসের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার রাঙামাটি আসছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাঙামাটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সুপারিশ দেবেন।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড় ধসের আগে সোমবার সকালে শহরের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে নতুন করে দুটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।