বুধবার, ৫ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২১শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি হবে

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ৩, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে স্থিতিশীল খাদ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ খাদ্য ঘাটতি পূরণে সরকার চলতি আর্থিক বছরে বিদেশ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

রবিবার খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে… তবে খাদ্য ঘাটতি পূরণে এই আমদানির পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ মেট্রিক টনে বাড়তে পারে।
সরকারি সূত্র জানায়, একই সময়ে সরকার চাল আমদানির ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে দেশে চালের মূল্য কম রাখতে সহায়ক হয়।

হাসান বলেন, এই পরিকল্পনার আওতায় ভিয়েতনাম থেকে সরকার টু সরকার ভিত্তিতে প্রতি টন চাল ৪৩০ থেকে ৪৭০ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, ‘আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে আমদানির প্রথম চালানটি দেশে এসে পৌঁছবে।

এছাড়াও আরো দেড় লাখ টন চাল আমদানির জন্য সরকার টেন্ডার আহ্বান করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে যথাসময়ে চাল এসে পৌঁছবে।

চাল আমদানির ওপর ১৮ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে জানিয়ে খাদ্য বিভাগের প্রধান বলেন, এতে আগের প্রতি কেজি চাল আমদানিতে ৯ টাকার স্থলে এখন সাড়ে তিন টাকা করে ক্রয়ে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, থাই সরকারের সঙ্গে চাল আমদানির ব্যাপারে আলোচনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আগামী ৫ জুলাই থাইল্যান্ড সফর করবে।

ভারত থেকে চাল আমদানি প্রসঙ্গে হাসান বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন আগের ১০৫ মিলিয়ন টনের জায়গায় ১১৫ টনে উন্নীত হওয়ায় সরকার ভারত থেকে চাল আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করছে।
আরব বিশ্বের ইসলামি আন্দোলন মুসলিম ব্রাদারহুড, হিজবুল্লাহ, আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গেও সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বলা হয় দেশটিকে। অবশ্য কাতার আগে থেকেই বলে আসছে, এসব সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। কাতার শর্তগুলো মেনে নিলে প্রথম বছর প্রতি মাসে একবার দেশটির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয় বছরে তিন মাস পরপর এটা করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর বাৎসরিকভাবে কাতারকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

অবশ্য শুরুতেই এসব দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘কার্যকরযোগ্য নয়’ বলে প্রত্যাখ্যান করে কাতার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও দাবিগুলোকে বাস্তবসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছে।

আরব দেশগুলোও দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, কাতার ইসলামপন্থিদের সহায়তার দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখিয়ে আসছে দেশগুলো। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। ব্রাদারহুড রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করে এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তাদের এই আদর্শকে হুমকি হিসেবে দেখে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো।

২০১২ সালে মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্রাদারহুড নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এলেও ২০১৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এরপর থেকে ব্রাদারহুড সমর্থকদের ওপর চালানো হয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর নির্যাতন। এতে সমর্থন দেয় সৌদি সরকার।