বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে ‘ল ফার্ম’ নিয়োগ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উভয় দেশে ‘ল ফার্ম’ নিয়োগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করতে এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে গঠিত টাস্কফোর্স সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করছে। ২০১০ সালের ২৮ মার্চে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে সভাপতি করে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই টাস্কফোর্সটি পুনর্গঠন করা হয়। তিনি বলেন, পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে একাধিক সভায় মিলিত হয়েছে এবং জাতির পিতার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ইতোমধ্যে স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ছবি সম্বলিত তথ্য প্রেরণপূর্বক তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর করা হয়। তারা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমদ (আর্টিলারি), বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার)।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি সাতজনের মধ্যে এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেমউদ্দিন ও আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছেন। আর দণ্ডিত আব্দুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন।