‘ঈদযাত্রায় হয়রানি বরদাশত করা হবে না
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উদ্যোগে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. ফারুক তালুকদার সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। যদি কেউ যাত্রীদের টানাটানি করে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ঈদে ঘরমুখী মানুষের কাছ থেকে কোনো অবস্থায় নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। আপনাদের নিরাপত্তা প্রদানে ডিএমপি সবসময় পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনাল দেশের বড় টার্মিনাল। ঈদ সামনে রেখে লাখ লাখ মানুষ ঘরমুখী হবেন আবার ফিরেও আসবেন এই টার্মিনাল দিয়ে। আমরা ধারণা করছি ঈদে প্রায় ৩০ লাখ যাত্রী গাবতলী বাস টার্মিনাল দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করবেন। ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে আমরা এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে টার্মিনাল ও শপিংমলকেন্দ্রীক নিরাপত্তা আরো জোরদার করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রোজাদারদের ইফতারের আগে বাড়ি ফেরানোর জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। নগরবাসীকে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিদিন ৪০০-৫০০ পুলিশ সদস্য শুধুমাত্র পানি আর খেজুর দিয়ে রাস্তায় ইফতার করছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যতবড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক না কেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে এক পাও সরবো না। ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজির মত অপরাধের সংখ্যা আমরা জিরোতে আনতে পেরেছি। রোজার ১৯ দিনেও ঢাকা শহরে কোনো বড় ধরনের ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। মানুষ নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে টাকা নিয়ে ব্যাংকে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মোসলেহ আহমেদসহ ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মালিক- শ্রমিক নেতারা।