মঙ্গলবার, ২০শে জুন, ২০১৭ ইং ৬ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যে ১০ কারণে শহরের মেয়েরা গ্রামের মেয়েদের চেয়ে বেশি মোটা হয়

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১৩, ২০১৭
news-image

---

অনলাইন ডেস্ক : ছেলে হোক আর মেয়ে হোক মোটাদের কেউ পছন্দ করেন না। সবাই তাদেরকে বোঝাই মনে করেন। কারণ, তাদের চলতে সমস্যা, বসতে সমস্য এমনকি শুইতেও সমস্যা। সবচেয়ে বড় কথা হলো মোটা মেয়েদেরকে ছেলেরা একটু কমই পছন্দ করে। এছাড়া বাড়তি ওজন অকালে মৃত্যুও ডেকে আনে।

সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের মেয়েরা গ্রামের মেয়েদের তুলনায় বেশি মোটা হয়। মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে শহরের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশদূষণ ও জিনগত কারণ দায়ী।

শহরের মেয়েরা মোটা হয় কেন, তার ১০ টি কারণ নিয়ে আজ আলোচনা করবো-

১. ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব পাবলিক হেলথের মতে, শহরে বিভিন্ন খাদ্য, পানীয়ের সহজলভ্যতার জন্য মেয়েরা চকলেট, চিপস, আইসক্রিম বেশি খায়। এই অভ্যাস তাদের মুটিয়ে ফেলে।

২. শহরের মেয়েরা রাতের খাবার দেরি করে খায়। সাইকোলজি টুডের গবেষণায় দেখা যায়, রাতের খাবার দেরি করে খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া শহরের মেয়েরা রাত জাগে, ঘুমায় কম। এটিও তাদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী।

৩. হরমোনের সমস্যাও মোটা হওয়ার একটি বড় কারণ। শহরের দূষিত পরিবেশ ও জিনগত কারণ অনেকাংশে মেয়েদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী—এটাও উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

৪. ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় দেখা গেছে, শহরের মেয়েরা পানি কম পান করে। তবে কোমল পানীয় বেশি পান করে। আর এতে মোটা হয়ে যায়।

৫. দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শহুরে মেয়েরা মাছ কম, মাংস বেশি খায়। এতে ওজন বেড়ে যায়।

৬. শহরের মেয়েরা সকালের নাশতা নিয়মিত খায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাশতা না খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৭.মেয়েরা ফাস্টফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খায়। আর এটি মোটা হওয়ার একটি বড় কারণ।

৮. জার্নাল অব নার্সিং অ্যান্ড হেলথের তথ্যমতে, শহুরে মেয়েরা শারীরিক পরিশ্রম কম করে। এতে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বাড়ে।

৯. জার্নাল অব মেডিকেল নিউট্রিশন গবেষণায় দেখা গেছে, শহর এলাকার মেয়েরা টিভি, ল্যাপটপ, ফোনে সময় বেশি দেয়। শহরের মেয়েরা গাড়ির ব্যবহার বেশি করে, কম হাঁটে। এটি তাদের স্থূল করে তোলে।

১০. পারিবারিক স্বাস্থ্যগত অসচেতনতার কারণেও শহরের মেয়েরা বেশি মোটা হয়। পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য যতটা চাপ দেওয়া হয়, স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য অতটা মনোযোগ দেওয়া হয় না।

এ জাতীয় আরও খবর