বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে যত রেকর্ড
---
স্পোর্টস ডেস্ক :রূপকথার জন্ম দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে মর্যাদার আসরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন চাঙা করে রেখেছে টাইগাররা। খাঁদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে গতকাল মহাকাব্যিক জয় পেয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বাংলাদেশকে এই জয় উপহার দিতে ব্যাট হাতে অনেকগুলো রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন দুই সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিউদের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচের রেকর্ডগুলো চলুন সংখ্যায় জেনে নেই।
‘‘২২৪”
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেট জুঁটিতে ২২৪ রান করেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যে কোনো উইকেটে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। শেন ওয়াটসন ও রিকি পন্টিংয়ের ২৫২ রানের জুটি এ তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে এ রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান দুই ব্যাটসম্যান।
‘‘২’’
ওয়ানডেতে পঞ্চম উইকেটে সাকিব-মাহমুদউল্লার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। পঞ্চম উইকেটে ২৫৬ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়ে শীর্ষে রয়েছেন জেপি ডুমিনি ও ডেভিড মিলার। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জুটি গড়েন প্রোটিয়া দুই ব্যাটসম্যান।
‘‘২’’
বিদেশের মাটিতে ওয়ানডেতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ। দুই সপ্তাহ আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে কিউইদের প্রথমবারের মতো হারিয়েছিল টাইগাররা। এবার কার্ডিফে মর্যাদার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কিউইদের বিপক্ষে ধারাবাহিক জয় পেল মাশরাফির বাংলাদেশ। কিউদের বিপক্ষে এ নিয়ে ১৫ হারের বিপরীতে ১০ ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
‘‘১৭৮’’
যে কোনো উইকেটে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড ছিল ১৭৮। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এবার সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ জুটির ২২৪ রান নতুন ইতিহাস গড়ল।
‘‘২’’
ওয়ানডেতে সাকিব ও মাহমুদউল্লার এ জুটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোনো দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৯৯ সালে হায়দরাবাদে কিউইদের বিপক্ষে সবোচ্চ ৩৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়।
‘‘২’’
একই ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির এটি দ্বিতীয় ঘটনা। সাকিব ও মাহমুদউল্লার আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন তামিম ও মুশফিক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোনো দলের এমন সেঞ্চুরির এটা চতুর্থ উদাহরণ।
‘‘৩’’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবশেষ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। মজার ব্যাপার হল তার ৩টি সেঞ্চুরিই আইসিসির টুর্নামেন্ট থেকে এসেছে।
‘‘৬’’
ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি রয়েছে সাকিবের। এর মধ্যে তার ৬ সেঞ্চুরির ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সংখ্যাটি যৌথভাবে তামিম ইকবালের সমান। ওয়ানডেতে তামিমের ৯ সেঞ্চুরির ম্যাচে ৩ হারের বিপরীতে ৬টিতে জিতেছে বাংলাদেশ।
‘‘৪’’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ধারাবাহিক চার ম্যাচে ৫০ কিংবা এর অধিক রান করেছেন কেন উইলিয়ামসন। এ আসরে যে কোনো ব্যাটসম্যানের যা সর্বোচ্চ। সবশেষ ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসরে ৬৭ রান করেছিলেন তিনি। এবার তিনটি ম্যাচে যথাক্রমে ১০০, ৮৭ এবং ৫৭ রান করেন উইলিয়ামসন। কিউইরা সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় এবারের মতো থামতে হচ্ছে উইলিয়ামসনকে।