চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়ে অপহৃত বাংলাদেশি নারী, পরে উদ্ধার
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে অপহৃত হয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী। পরে পুলিশেরতৎপরতায় চার ঘণ্টা পরই অপহরণকারীদের ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরের কাছে হরিদাসপুর এলাকায়।
পেট্রাপোল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিজের অসুস্থ কন্যা লাবনী বালা ও শ্যালিকা শোভা বিশ্বাসকে নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা পরিমল বালা।
এরপর, পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতা যেতে একটি গাড়ি ভাড়া করেন পরিমল। সীমান্ত থেকে গাড়ি ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই গাড়ির পথরোধ করে কয়েকজন যুবক। গাড়ি থামিয়ে পরিমলের অসুস্থ শ্যালিকা শোভা বিশ্বাসকে (৩৫) অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে দেড় লাখ রুপি দাবি করে তারা।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্থানীয় বনগাঁ থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ করেন পরিমল। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্ত থানা একযোগে অভিযানে নামে। চার ঘন্টার মধ্যেই সীমান্তের কাছে ফিরোজপুর এলাকা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শোভা বিশ্বাসকে উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আটক করা হয় অভিযুক্ত দেবরাজ বাছার ও রাকেশ হালদারকে।
অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অপহৃত বাংলাদেশি নারী শোভা বিশ্বাসের স্বামীর সঙ্গে ব্যবস্যায়িক শত্রুতার জেরেই অপহরণের ঘটনা ঘটায় তারা। এই অপহরণের সঙ্গে আরো কেউ যুক্ত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার অভিযুক্ত দুই অপহরণকারীকেই বনগাঁ মহুকুমা আদালতে তোলা হবে।
এদিকে শোভা বিশ্বাস জানান, ‘রাকেশ এবং আরো কয়েকজন আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। তারা বলে, আমার স্বামীর কাছ থেকে রুপি পাবে, সেই রুপি আদায় করতেই আমাকে অপহরণ করেছে।’