কাতারের বিরুদ্ধে এবার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে, বাহরাইন হুঁশিয়ার করেছে, কাতারের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কূটনৈতিক সংকট নিরসনের দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্যরা বুধবারও কাতারের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছে। তবে কূটনৈতিক সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সমঝোতা করার চেষ্টা করলেও তাতে এখন কোনো ফলাফল আসেনি।
সোমবার সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়। এরপর একে একে সাতটি দেশ সৌদি আরবের সুরে সুর মিলিয়ে একই ঘোষণা দেয়। হঠাৎ করে সন্ত্রাস ও উগ্রতাবাদে অর্থায়ন ও সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের হিকিড় পড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে গরম হাওয়া বইতে শুরু করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয়, কাতারের বিরুদ্ধে আরো বেশি অর্থনৈতিক কড়াকাড়ি আরোপ করা হবে। তিনি আরো বলেন, নীতি পরিবর্তনে কাতারকে ইস্পাতকঠিন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের যে অভিযোগ আনা হয়েছে কাতারের বিরুদ্ধে, সেই অভিযোগ অনুসারে সরে আসতে হবে তাদের।
তবে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে কাতার।
অন্যদিকে, ফ্রান্স-২৪ টেলিভিশনকে গারগাস বলেন, এরপর কাতারের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
এদিকে, কূটনৈতিক সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার হাত বাড়িয়েছে কুয়েত। দেশটির আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির এখনো কোনো উন্নতি হয়নি।
এদিকে, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন আহমেদ আল খলিফা সৌদি সংবাদপত্র মক্কাকে বলেছেন, কাতার তাদের আচরণ পরিবর্তন করবে কি না, তা নিয়ে তিনি এখনো সন্দিহান।
শেখ খালিদ আরো বলেছেন, আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষায় দ্বিধা করব না এবং কাতার থেকে নিজেদের রক্ষা করার রাস্তা উন্মুক্ত রয়েছে।
সোমবার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশরসহ তাদের তিনটি মিত্র দেশ। তাদের অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও তাদের প্রধান শত্রু ইরানকে সাহায্য করছে কাতার।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন