বুধবার, ১৪ই জুন, ২০১৭ ইং ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মোরার আঘাতে কক্সবাজারে শতশত বাড়িঘর বিধ্বস্ত, নিহত ১

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩০, ২০১৭

---

ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূলে আঘাত হানায় শতশত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি বহু গাছপালা উপড়ে গেছে। উখিয়ায় গাছের নিচে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ বলেন, ‘এ ইউনিয়নে দেড় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে। আশপাশে যতদূর দেখেছি তাতে কমপক্ষে ৭০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। অগণিত সংখ্যক গাছপালা ভেঙে গেছে। আমার নিজের সেমিপাকা বাড়িটিরও আংশিক ভেঙে গেছে’।
ভোর ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সেন্টমার্টিনে আঘাত হানে জানিয়ে তিনি সকাল ৮টায় বলেন, এখানে এখন প্রচ- ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তবে ঝড়ের আগেই সবাই আশ্রয়কেন্দ্রসহ উঁচু ভবনগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি জানান। সকাল ৮টা পর্যন্ত তিনি কোনো হতাহতের খবর পাননি বলেও জানান।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন এলাকায়ও বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কিছু গাছপালা। এছাড়া কিছু লোক আহত হয়েছে বলে শুনেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন। তবে তিনি আহতদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে মোরা। তার আগে থেকেই হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখানে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জয় জানান, এ জেলায় ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
‘মোরা কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি ও গাছপালার। তবে কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি’।