ধূমপানবিরোধী সম্মেলনে অনেককেই ধূমপান করতে দেখি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধূমপানবিরোধী সম্মেলনে অংশ নিয়েও অনেককে ধূমপান করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এ সময় ধূমপানবিরোধী আইনের কার্যকারিতা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবাক হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে ধূমপানমুক্ত বিশ্ব গড়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে উন্নত বিশ্বসহ অনেক দেশের কর্মকর্তারা যোগ দিয়ে থাকেন। আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়ও দেখেছি অনেকে সাবলীলভাবে হাসিখুশি মনে ধূমপান করেছেন। এদের সংখ্যা খুব কম নয়। এঁদের মধ্যে অনেকেই উন্নত বিশ্বের নাগরিক। তখন আমি ভাবি কীভাবে আমরা ধূমপানমুক্ত বিশ্ব গড়ব?’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে ২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনকে ২০১৩ সালে হালনাগাদ করা হয়েছে। এর ফলে উন্মুক্ত স্থানে ধূমপানের সংখ্যা কমে এসেছে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর— এটা ব্যাপক প্রচারের ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসচেতন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তামাক খাত থেকে সরকার আয় করে বছরে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু তামাকজনিত রোগের কারণে যে ক্ষতি হয় তার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকারের প্রতিবছর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রতিবছর পৃথিবীতে ৬০ লাখের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে।
আগামী ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানান জাহিদ মালেক।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।