বৃহস্পতিবার, ২২শে জুন, ২০১৭ ইং ৮ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নতুন পাওয়ার প্লান্টের নির্মান কাজ প্রায় শেষ, শীঘ্রই আসছে উৎপাদনে

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৮, ২০১৭
news-image

---

তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নতুন আরো একটি পাওয়ার প্লান্টের নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী জুন মাস নাগাদ জ্বালানী সাশ্রয়ী সর্বাধুনিক এ প্লান্টের বিদ্যুৎ পুরো মাত্রায় উৎপাদন শুরু হতে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ গ্যাসভিত্তিক এ ইউনিট থেকে মিলবে অন্তত ৩৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এতে প্রায় ২ হাজার ৫শ ৬০ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, তাই নতুন নতুন পাওয়ার প্লান্ট আসার পর সে চাহিদা মিটবে আমরা আশাবাদী। কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (নর্থ) বিদ্যুৎ প্লান্ট উৎপাদনে আসলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটাই কমে আসবে। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব উদ্যোগে এ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব তহবিল, ইসিএ ব্যাকড প্রজেক্ট ফাইনান্সের অর্থায়নে এ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। এর নির্মানের দায়িত্ব পান স্প্যানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিএসকে ও টিআর লিঃ। প্রকল্পটির ৯৯ ভাগ কাজ এখন শেষ হয়েছে। ৫৬% সর্বোচ্চ জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন এ প্লান্ট চালু রাখতে প্রতিদিন ৫৫ এমএম সিএফডি গ্যাস প্রয়োজন। যা অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে অনেক কম। প্লান্ট থেকে নির্গত কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা অনেক কম থাকায় পরিবেশের তেমন ক্ষতি হবে না। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্টিম টারবাইন ও গ্যাস টারবাইন মিলে কম্বাইন্ড সাইকেল ইউনিট। ৩শ ৮০ মেগাওয়াট প্লান্ট থেকে ইতিমধ্যে ২শ ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সিম্বল সাইকেল পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। সব ঠিক ঠাক থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই পুরো মাত্রায় ৩শ ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ক্ষিতীশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানী সাশ্রয়ী ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৭৫/২৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করছি। জুন মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুত মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তাই নুতন নতুন পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের পর সে চাহিদা মিটবে। চাহিদা মেটাতে আমাদের এই প্রয়াস। আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। এ প্লান্ট চালু হলে দেশের বিদ্যুতের সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে।
তবে অভিযোগ রয়েছে একের পর এক বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মান হলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোডশেডিং চলছেই। তাই সূধীজনরা টেকসইপূর্ণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরও খবর