প্রেমের অভিনয় করে সুন্দরী মডেলদের বেডরুমে নিতেন সাফাত!
---
নিউজ ডেস্ক : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানীর অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার গাড়ি চালক বিল্লাল, গানম্যান রহমত, সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ও নির্যাতিতা দুই তরুণীর বন্ধু সাদমান সাকিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের নামিদামি অনেক মডেলের বন্ধু সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ।
সাফাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এমন একজন মডেল সম্পর্কে জানা গেছে, তার বাসাতে নাঈম আশরাফকে নিয়ে প্রায় যাওয়া আসা করতো সাফাত আহমেদ। ওই মডেলকে সবচেয়ে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হতো সাফাতের। ঢাকায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন পার্টিতে আসতে চাইতো না ওই মডেল। ওই মডেলকে আরো কয়েক জনের সঙ্গে মনোরঞ্জনে ব্যবহার করেছিল নাঈম। বেশির ভাগ সময় তাকে নিয়ে বিদেশে যেতে হতো।
নাঈম আশরাফের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, গত ১৬ই মার্চ চট্টগ্রামে গিয়েছিল নাঈম। সেখানে তার সঙ্গে দেশের এক পরিচিত মডেলকে দেখা গেছে। একই হোটেলে উঠেছিল নাঈমের আরেক বন্ধু। তার সঙ্গে ছিল তার গার্লফ্রেন্ড। তারা কয়েকদিন সেখানে ছিল। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ঘুরেছিল তারা।
সূত্রমতে, মডেলদের সঙ্গে সাফাতকে ফোনে কথা বলিয়ে দিতো নাঈম। সাফাতের সঙ্গে ডিনারের আমন্ত্রণ করা হতো। মডেলদের অনেকের সঙ্গে মনোরঞ্জনের পর নগদ টাকা, নানা গিফট দিতো সাফাত। কোনো কোনো তরুণীর ক্ষেত্রে ঘটেছে ভিন্নতা। প্রেমের অভিনয় করে তাদের বেডরুম পর্যন্ত নিতে হয়েছে সাফাতকে।
গত বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর ‘নেহা কাক্কার লাইভ ইন ঢাকা’ ও গত বছরের ১০ই মার্চ ঢাকার ‘অরিজিৎ সিং সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ শিরোনামের কনসার্টের আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিল নাঈম আশরাফ। অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠানে সাফাতের সঙ্গে কয়েক মডেলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল নাঈম আশরাফ। ওই রাতে নাঈম ও তার এক বন্ধু বনানীর হোটেল সেরিনার একটি কক্ষে ছিল। তাদের সঙ্গে উদীয়মান একজন মডেলও ছিল।
এসব বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নানা তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। সূত্রমতে, ২৮শে মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সম্ভ্রমহানীর ভিডিও ফুটেজটি আজকালের মধ্যেই গোয়েন্দারা উদ্ধার করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। সাফাতের মোবাইলফোন থেকে ডিলিট হওয়া ওই ফুটেজ বিশেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার করা হচ্ছে। এতে আইসিটি আইনে আরো একটি মামলা হতে পারে সাফাতের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ই মে এ ঘটনায় সাফাত ও সাকিফ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার আগে ১৭ই মে রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের চান্দেরবাজার থেকে পুলিশ নাঈম আশরাফকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন থেকে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছে নাঈম আশরাফ।