নবীনগর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ
---
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে কোটি টাক আত্মসাৎ এর অভিযোগে এমপির বঠৈক। নবীনগর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তদন্তের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ববাররে ১০ কাউন্সিলর অভিযোগ দাখিল করেছেন।এ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মঙ্গলবার পৌর র্কাযালয়ে ময়ের ও কাউন্সলিরদরে সাথে এমপরি রুদ্বদার বঠৈক অনুষ্ঠতি হয়। এ সময় বাহিরে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ মেয়রের অপসারণ দাবী করে শ্লোগান দেন।
মেয়রের বিরুদ্বে গত ১১ মে জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পৌর কাউন্সিলদের মতামত, পরামর্শ ও পৌরসভার সকল নিয়মকানুন উপেক্ষা করে বেআইনীভাবে সেচ্ছাচারীতার মাধ্যাম স্বীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করেছেন মেয়র। পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডে ইদন মিযার বাড়ি হতে আলীয়াবাদ পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মান কাজ যাহা স্থানীয় এমপি ফয়জুর বাদল তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মান করেন। মেয়র সু-কৌশলে কাউন্সিলদের অজ্ঞাতসারে গতবছরের ৩০ মে পত্রিকার বিগুপ্তির মাধ্যামে কিছু কাজের দরপত্র আহবান করেন। এমপি মহোদয়ের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী উক্ত প্রকল্পের প্রাক্কলিক ব্যায় ৩০,৯৫,৭৫৯ (ত্রিশ লক্ষ পচাঁনব্বই হাজার সাতশত উনষাট) টাকা দেখিয়ে সিডিউলে ঢুকিয়ে দেন। এবং এমপির দোহাই দিয়ে ওই প্রকল্পের সিডিউল বিক্রী না করে তাঁহার আজ্ঞাবাহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারপ্রাপ্তি দেখিয়ে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। পৗরসভার নিজস্ব দুটি রোলার মেশিন রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রোলারের ভাড়া পে-অর্ডারের মাধ্যমে অগ্রিম জমা করে তবেই রোলার ব্যবহার করবেন। কিন্তু মেয়র নগদ অর্থ নিয়ে তা ভাড়া দিচ্ছেন। প্রতিদিনের দুইটি রোলারের ৪০০০/= টাকা ভাড়া হিসাবে মেয়াদকালীন সময়ে ৩৬,০০,০০০/=(ছয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা পৌর তহবিলে জমা না করে তা আত্মসাৎ করেন।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৮টি কসাইখানা থেকে রশিদের মাধ্যমে ১৫০ টাকা আদায়ের নিয়ম থাকলেও রশিদ ছাড়াই তা আদায় হচ্ছে। তাঁর মেয়াদকালে গত পাঁচ মাসে ১,৮০,০০০/= (এক লক্ষ আশি হাজার টাকা এ খাত থেকে আত্মসাৎ করেন তিনি।
পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ টি প্রকল্পে ১,৩৫,০০,০০০/= (এক কোটি পঁত্রিশ লক্ষ) দরপত্র বিগুপ্তি আহবান করে সিডিউল বিক্রী না করে তাঁর আজ্ঞাবাহ ঠিকাদারের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের অজ্ঞাতসারে নাম মাত্র ৭৩ লক্ষ কাজ করিয়ে ১,৩৫,০০,০০০/=(এক কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকা বিল উত্তোলন করে ৬২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। কাউন্সিলরার জানান,পৌর পরিষদের সিদ্বান্ত ছাড়া নিয়োগ বানিজ্য মাধ্যমে মাষ্টাররোলে ১৭জন কর্মচারী কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করে তাদের নামে বেতন উত্তোলন করছেন। কিন্ত ওই কর্মচারীগন কোন প্রকার কার্যসম্পাদন করতে তারা দেখেননি তাদের চিনেনও না। নির্বাচনের পর পৌর পরিষদ কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ৪,০০,০০,০০০/=(চার কোটি) টাকা রাজস্ব ফান্ডে থাকলেও বর্তমানে রাজস্ব ফান্ড শূন্য বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার(১৬/০৫)সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি চলা এ বৈঠক শেষে এমপি ফয়জুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনকি ক্ষত্রেে অস্বচ্ছতার বষিয়টি ছলি লক্ষনীয়। যইে কারনে পৌর সচবি বলেজুর রহমান খান ও উপ সহকারী প্রকৌশলী (সভিলি) মাহবুবুর রহমান খানকে নবীনগর থকেে স্বইচ্ছায় সরে দাড়ানোর কথা বললনে তনি।ি সাংবাদকিদরে এক প্রশ্নরে জবাবে সাংসদ বলনে, ময়েররে বরিুদ্ধে আনতি অভযিোগ সুস্পষ্টতার প্রমান না পাওয়ায় এখনই তাকে অভিযোক্ত বলা যাবেনা।
ূ
এ ব্যাপারে মেয়র মাঈনদ উদ্দিন মাঈনু তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা,কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে কোন কু-চক্রীমহল যড়যন্ত্র করছে। পৌরসভায় এ পর্যন্ত যা কিছু কাজ হয়েছে পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়ম নীতির মধ্য দিয়ে হয়েছে। কেন তারা এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ আনলেন অবগত নই,যদি আমি অন্যায় করে থাকি তাহলে তদন্ত হউক।
।