শনিবার, ১৭ই জুন, ২০১৭ ইং ৩রা আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ধর্ষণ করলো প্রতিবন্ধিকে

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১০, ২০১৭
news-image

---

ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কর্তৃক ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধি তরুনী বিচারের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উল্টো ধর্ষণকারী ও তার পরিবাবের হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের এক অসহায়,পিতৃহীন প্রতিবন্দ্বী খাদিজা বেগম (২১) ও তার বৃদ্ধা মা এখন সমাজপতিদের কাছে মেয়ের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কারন,একই উপজেলার মো.ছাদেক মিয়া(৩৫)একই গাাঁয়ের প্রতিবনদ্বী খাদিজার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করায় মেয়েটি এখন গর্ভবতী অভিযোগ করে ভিকটিম সহ তার মা ও এলাকাবাসী।বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী পর্যন্ত ধর্ষক ছাদেক ও তার আপন বড় ভাই বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের নব নির্বাচিত মেম্বার মতিয়ূর রহমানের ভয়ে চুপ হয়ে আছে।

অভিযোগে জানা গেছে,খাদিজা ও তার বৃদ্ধা মা গত ৫মে অনাগত সন্তানের বিষয়টি কি সুরাহা করাহবে-এমনটা জানতে মতি মেম্বারের বাড়িতে গেলে তাকেসহ বৃদ্ধা মাকে লাঠি পেটা করে আর যেনো কখনো না আসে তার জন্য শাসানো হয়। গতকাল ধর্ষক সাদেক মতিদের বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য গেলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সবাই ঘর হতে পালিয়ে যায়। সরেজমিনে, খাদিজা,তার মা ও প্রতিবেদশীসহ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে ও খোজ নিয়ে জানা গেছে,বছর খানেক আগে ব্যবসায়ী দানেশ মিয়া ও তার স্ত্রী তাদের বাড়িতে ঘড় মোছার কাজ দেয়।৮ মাস আগে এক দিনের বেলায় দানেশের স্ত্রী প্রতিবন্দ্বী খাদিজাকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে স্বামীকে ঘড়ে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ দিলে প্রথম ধর্ষিতা হয়।এরপর,বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে বলে,লোক জানাজানি হলে তাকে বাড়ির কাজ থেকে বের করে দেবে। সেই ভয়ে খাদিজা আর কাউকে না জানিয়ে দিনের পর দিন কেবল দুমুঠো খাবারের আশায় ধর্ষিতা হতেই থাকে।ছাদেকের স্ত্রীর কোমড়ে সমস্যা আছে বিধায় স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে এমন নোংরা কাজে সহযোগিতা করেছে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক গ্রামবাসী।ধর্ষক প্রভাবশালী বিধায় থানায় মামলা করতে যায়নি বলে জানায় খাদিজার মা কুলসুম বেগম ও তার চাচাতো ভাই মো.রহিম ।
গ্রামের মুরব্বী হাজী কফিল উদ্দিন বলেন,-‘খাদিজা বুদ্ধি প্রতিবন্দ্বী।সে কিছুই বুঝে না।৭ বছরের মেয়ের বুদ্ধিও তার নেই।এমন সরলা মেয়েকে চা ব্যবসায়ী দাএেশর এমনটা করা ছিক হয়নি।তার স্ত্রীও মানুষটা সুবিধার নয়।এখন শিশু জন্মাবার পর ভরন-পোষন কে দেবে?

বাঞ্ছারামপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফর নাহার খানম জানান,আমি মেয়েটিকে হাতের কাজ বা হাস-মুরগী পালনের জন্য সরকারি উদ্যোগে সুদমুক্ত ঋণ দিতে পারি’।

সমাজসেবা অফিসার সুরভী আক্তার বলেন,তারা যোগাযোগ করেনি বলে প্রতিবন্দ্বী ভাতা পায়নি।এখন ব্যবস্থা করবো।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে আজ বুধবার মুঠোফোনে কথা বললে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান বলেন,-‘ ভিকটিম প্রতিবদ্বী পরিবারটি আগে থানায় মামলা করুক-আইন ব্যবস্থা নিবে,আমি তাতে সহায়তা করবো। আইন সবার জন্য সমান’

পিতৃহীন ও অতিদরিদ্র পরিবারের একমাত্র মেয়ে খাদিজা নিয়মিত কাজ করে তার মা ও নিজের দুবেলা দু মুঠো খাবার পেতো।এখন সেটিও জুটছে না।তারউপর গর্ভে ৭ মাসের সন্তান।হানিফা বেগম বলেন,-‘আমরা এখন কার কাছে বিচার চাইতে যাবো?’

এ জাতীয় আরও খবর