প্রস্তুতি ম্যাচে বিশাল জয় : বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৯৪ রান
প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিরুদ্ধে ১৯৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেয়া ৩৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে ১৯৫ রানে অলআউট হয়েছে দলটি।
আয়ারল্যান্ড উলভসের বোলাররা দুঃস্বপ্নেও এমন ব্যাটিং দেখেনি হয়তো। হোক না এটা প্রস্তুতি ম্যাচ, তাই বলে এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, তা হয়তো তারা কল্পনাও করতে পারেনি। বেলফাস্টের স্টরমন্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন বাংলাদেশের তামিম-সাব্বিররা। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৪ রান। ৫০ ওভারের যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাব্বির রহমান। ৮৬ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় সেঞ্চুরি পূরণ করার পর তাকে দেয়া হয় বিশ্রাম। বাকিরাও সুযোগ পেলেন ব্যাট হাতে উইকেটে এসে ঝড় তোলার। ৮৬ রান করেন তামিম ইকবাল।
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। ৭৪ বলে ৮৬ রান করে তিনি আউট হয়ে গেলে, এরপর মাঠে নেমে ব্যাট হাতে আয়ারল্যান্ডের উলভস দলের বিপক্ষে ঝড় তোলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। আইরিশ বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে বাংলাদেশের রানকে নিয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
৪৯ বলেই হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন সাব্বির। ৭টি বাউন্ডারি এবং এক ছক্কায় এই ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান তিনি। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ২৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮০।
হাফ সেঞ্চুরির পরও সাব্বির ম্যাজিক চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৮৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করে ছাড়েন এই টপ অর্ডার। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১৬টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম আর সৌম্য মিলে দারুণ সূচনা এনে দেন। যদিও দলীয় ৪৪ রানে ব্যক্তিগত ১৭ রান করে আউট হয়ে যান সৌম্য। তামিম আর সাব্বির মিলে বড় জুটি গড়ে তোলেন। ১০৩ রানের জুটি গড়ার পর ৭৫ বলে ৮৭ রান করে আউট হন তামিম ইকবাল।
তামিমের পর আউট হন সাকিব আল হাসান। সাব্বির ফিফটি করার পরই গেটক্যাটের স্লোয়ার বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে ক্যাচ আউট হন সাকিব। তার ক্যাচ নেন ক্রেইগ ইয়াং। ২৭ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৭ বল খেলে করেন ৩১ রান। ম্যাকব্রাইনের বলে ক্রেইগ ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনিও। শেষ দিকে মাঠে নেমে ছোট্ট একটা ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৩১ বলে ৪৯ রান করে গেটক্যাটের বলে টেরির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মাশরাফি ৭ বলে ৮ রানে অপরাজিত থেকে যান।
আইরিশদের পক্ষে গেটক্যাট ৭ ওভার বল করে ৬০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১০ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ম্যাকব্রাইন। ১ উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়াং।