যুদ্ধের মধ্যেই বিবাহ সারলেন পাত্র-পাত্রী!
---
অনলাইন ডেস্ক : চলছিল বিবাহ, কিন্তু হঠাৎ তা রূপ নিল রণক্ষেত্রে। বিয়ে দিতে এসে বরযাত্রীরা নেমে গেলেন সরাসরি যুদ্ধে। দু’টি আলাদা আলাদা বরযাত্রীর দল জড়িয়ে গেলেন সংঘাতে। লাঠি, সড়কি, বাঁশ হাতে আসানসোলের ঘাগরবুড়ি মন্দির চত্বরে পেটালেন পরস্পরকে। বাদ পড়েননি নারীরাও।
মন্দিরে বিয়ের সময়ে বিভিন্ন দলের নিজের নিজের এলাকায় থাকার কথা। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় নাচতে নাচতে একে অন্যের এলাকায় ঢুকে পড়লে শুরু হয় অশান্তি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথামিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের। রবিবার ছিল বিয়ের লগ্ন। আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল প্রাচীন ঘাগরবুড়ি মন্দিরে। বরযাত্রী ও কনেযাত্রী মিলে কম করে পঞ্চাশটি বিয়ের দল উপস্থিত ছিল এদিন। নিয়ম অনুযায়ী, পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষ মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠানে সঙ্গে নিয়ে আসেন আত্মীয়স্বজন ও নিমন্ত্রিতদের। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হয় সেখানেই।
এদিকে, রবিবার রানিগঞ্জের চাপুই ও কুলটির মিঠানী কোলিয়ারি এলাকা থেকে দু’টি দল এসেছিল ঘাগরবুড়ি মন্দিরে। জানা গেছে, রানিগঞ্জের চাপুই গ্রামের লোকেরা রান্নাবান্না করার সময় বক্স বাজিয়ে মদ্যপ আবস্থায় নাচছিল। অন্য দিকে, মিঠানী থেকে আসা দলও রান্নাবান্নায় ব্যস্ত ছিল। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় তারা মিঠানীর এলাকায় ঢুকে পড়ে কটূক্তি শুরু করে। নারীদের প্রতিও খারাপ কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। তা থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে মারামারি শুরু হয়। দু’পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে মন্দির চত্বরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মন্দিরের সাধারণ দর্শনার্থীরা এই সব দেখে ভয়ে মন্দির চত্বর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ না করায়, পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি।
দু’পক্ষের বরযাত্রীরা যখন মারামারিতে ব্যস্ত, তখন বিয়ে হয়েছে শান্তিতেই। সঙ্গীরা সবাই ভয়ে পালিয়ে গেলেও পাত্র ও পাত্রী মন্দিরের ভেতর শান্তিতেই শুভদৃষ্টি, মালাবদল করেছেন। সূত্র: এবেলা