চলনবিলে মুজিব কেল্লা ও সাইক্লোন সেন্টার হবে : মায়া
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোয়াজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া জানিয়েছেন, বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় চলনবিল এলাকায় মুজিব কেল্লা ও সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
সোমবার দুপুরে চলনবিলের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, চলনবিলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবসান না হওয়া পর্যন্ত সরকারের ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। চলনবিলসহ দেশে যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় চলনবিল এলাকায় মুজিব কেল্লা ও সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটায় চলনবিলের মানুষ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষির সাথেই এ অঞ্চলের জনগণের জীবন ও জীবিকা জড়িত। তাই এসব মানুষের উন্নয়নে সরকারকে আরো যুগোপোযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান ভুঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কুষিবিদ রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন আজিজুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী, জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়াও সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল আহসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, ডাহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম প্রমুখ।
এসময় মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত তিন’শ জনকে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ৫’শ টাকা করে প্রদান করেন। পরে বিকেলে মন্ত্রী গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে মতবিনিময় ও ত্রাণ বিতরণ করেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, চলনবিল অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে মোট ১৯৩ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে পানি ঢুকে চলনবিলের প্রায় ১৫শ হেক্টর জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের দাবি ক্ষতির পরিমাণ মাত্র ৩৬০ হেক্টর।