ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানির ট্যাংক থেকে গৃহবধূর রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার
---
সন্তোষ সূত্রধর, আশুগঞ্জ থেকে॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চর চারতলায় বাড়ির পরিত্যাক্ত পানির ট্যাংকি থেকে হাত বাধা অবস্থায় এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধুর লাশটি গলায় ওরনা ও পলিথিন দিয়ে মাথা বেধে রাখা অবস্থায় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম কামরুন্নাহার তুর্ণা (২৫)। সে উপজেলার চর চারতলা গ্রামের একই এলাকার মফিজুল হক টুক্কু মিয়ার মেয়ে ও আরিফুল হক রনির স্ত্রী। সোমাবার সন্ধ্যা ৭টায় তার স্বামীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী আরিফুল হক রনি পলাতক রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আরিফুল হক রনির বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
গৃহবধুর শশুর ছোট্র মিয়া জানান, ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারী কামরুন্নাহার তুর্নার সাথে তার চাচা ছোট্র মিয়ার ছেলে আরিফুল হক রনির সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর এ দম্পত্তির সুখি নামে সাড়ে ৩বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কোন কলহ ছিল না। সকাল ৭টা দিকে কামরুন্নাহারকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায় রনি। পরে বিষয়টি কামরুন্নাহার তুর্ণা বাবা টুক্কু মিয়া অবহিত করি। সারাদিন দুই পরিবারের লোকজন অনেক খোজা খুজি করলে সন্ধ্যায় বাড়ির ছাদের উপর পানির ট্যাংকিতে ঢাকনা খোলতে গিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।
গৃহবধুর বাবা মফিজুল হক টুক্কু মিয়া জানান, রনির বাবা আমার ছোট ভাই ছোট্র মিয়া কামরুন্নাহার তুর্নাকে খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা আমাকে জানায়। পরে আমরা অনেক খোজ খুজি করি। কোথাও না পেয়ে বাড়ির ছাদে পানির ট্যাংকি থেকে তার লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হত্যা এটি একটি হত্যাকান্ড এবং পারিবারিক কলহ থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী রনি পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মফিজুল হক বাদী হয়ে গৃহবধুর স্বামী আরিফুল হক রনিকে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাত নামা আরো ৩জন আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।