g পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করছে না আওয়ামী লীগ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৩রা কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করছে না আওয়ামী লীগ

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১৩, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার কর্মসূচি বাদ দিয়েছে। বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শোভাযাত্রা না করার এই সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।

জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানায়।

শোভাযাত্রা বাতিল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত। আমরা চিন্তা করেছি, এ ধরনের শোভাযাত্রায় জনগণের ভোগান্তি হয়। বহুদিন ধরে কোনো ধরনের র‌্যালি করার পক্ষে আমরা নই।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে ফেরার দিন আওয়ামী লীগের সংবর্ধনার আয়োজন বাতিল করার কথা মনে করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের। জনভোগান্তি এড়াতেই সংবর্ধনা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে পুরান ঢাকা থেকে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছিল এতদিন, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নিতেন।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণে হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলোর দাবির সঙ্গে সহমত জানালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করে বলেন, পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ‘হিন্দুয়ানি’ কোনো বিষয় নয় এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনগণের যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয়, সেজন শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়েছে।

চারুপীঠ নামের একটি সংগঠন ১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষের উৎসবে পাপেট ও মুখোশ নিয়ে বাদ্যা বাজিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এরপর ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা চারুকলার শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখের সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছেন।

এই শোভাযাত্রা এখন কেবল বর্ষবরণ উৎসবের অনুসঙ্গই নয়, এর মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে মেলে ধরার পাশাপাশি সমাজে অবক্ষয় থেকে মুক্তি, পেছনের দিকে হাঁটা প্রতিরোধের আহ্বানও জানানো হয়।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনে গতবছর ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তাদের ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

এ জাতীয় আরও খবর