মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ : সহকারী প্রধানসহ অর্ধশত শিক্ষকের বিএড সনদ জাল
---
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অন্তত ৫০ শিক্ষকের বিএড সনদ জাল বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষকের সনদ বৈধ নয় বলেও প্রমাণ মিলেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। আর অভিভাবকরা বলছেন, জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে নামবেন তারা।
রাজধানীর ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকার শুরুতে আছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম। যাতে শিক্ষক আছেন ৬ শো’রও বেশি। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন শিক্ষকের বিএড সনদ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের।
এসব শিক্ষকের সনদের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি তদন্তে নামে শিক্ষামন্ত্রণালয়। তদন্তে স্কুলটির সহকারি প্রধান শিক্ষক ছালাম খানের সনদটি বৈধ নয় বলে প্রমাণ পায় মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছালাম খান যে সনদ নিয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষকের চাকরি করছেন সেটি যথাযথ না হওয়ায় তার নিয়োগও বিধিসম্মত হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রাহি হননি স্কুলের অধ্যক্ষ। তবে টেলিফোনে জানিয়েছেন, তিন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। তিনি বলেছেন, সনদ জালের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে নিয়োগের বিষয়ে আমাদের সরাসরি হাত থাকে না। এ বিষয়ে এককভাবে মন্তব্য করার কিছু নেই। তবে মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দিবে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
এদিকে ভুয়া সনদে চাকরি নেয়া শিক্ষকদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি অভিভাবকদের। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তারা।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু জানান, যাদের সনদ জাল তারা শিক্ষার্থীদের কি শিক্ষা দিবে। চলতি মাসের মধ্যেই ব্যবস্থা নিতে হবে নইলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এর আগেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বেশি ভর্তি ফি এবং অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তির বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় মন্ত্রণালয়। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি