রবিবার, ১৯শে মার্চ, ২০১৭ ইং ৫ই চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরের ইতালি গ্রাম মাসে কয়েক কোটি টাকার রেমিটেন্স আসে

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১৬, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে মানিকপুরে রয়েছে ইতালি গ্রাম নামে আলিশান এক পল্লী অঞ্চল। মানিকপুর ইউনিয়নের মধ্যে বাহেরচর,কল্যানপুর,মানিকপুর,উলুকান্দি,মায়ারামপুর,দোয়ানী,চারানী,কাপাসকান্দি নামে ৮ টি গ্রামে বাস করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। শিক্ষার হার যেমন তেমন ৮ টি গ্রামে রয়েছে প্রায় শতাধিক ইতালি প্রবাসি বাঞ্ছারামপুরের মানুষ। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম ফেলে প্রতি মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকার রেমিটেন্স বাংলাদেশ পাঠাচ্ছে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্থানীয় তফসিলী ব্যাংক সোনালী,অগ্রণী,জনতা,কৃষি এবং বেসরকারি ইসলামী, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার আইএমই পদ্ধতিতে পাঠানো কি পরিমাণ বৈদেশিক রেমিটেন্স নিয়ে কথা বললে উল
এক ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান , ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার ৯ টি উপজেলার ১১১৭ টি গ্রাম। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নে তার মর্ধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক রেমিটেন্স আসে। যা  টাকার অঙ্কে প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি। মানিকপুরের ইতালি গ্রামের স্থানীয় অধিবাসী, জেএফসি ফ্যানের বাংলাদেশের একমাত্র পরিবেশক ও বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি এই ইতালি গ্রামে জন্ম নিয়ে গর্বিত। এটা কতোটা আনন্দের তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তিনি বলেন, সেই ১৯৮০ সালের পর থেকে প্রথমে আলহাজ্ব করিম (ইতালি করিম), বাকিউল ইসলাম বাক্কি, নজরুল, আলম, শাহ জাহান, ছগির, মজিবুর প্রমুখ ইতালি যেয়ে রক্তের টানে  একে একে আত্বীয় স্বজন ইতালি নেওয়া শুরু করেন। পর্যায় ক্রমে ১ শত ২০ জনের উপরে মানুষ ইতালি প্রবাসি হয়ে গেছেন’’ সাবেক মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান বায়ু জানান, ‘আমার এলাকায় শান্তিপ্রিয় ছোট ছোট ৮ টি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে মানিকপুর ইতালি গ্রাম। মানুষ এই গ্রামের প্রায় ঘরে ঘরে ইতালি প্রবাসি থাকায় জনগণ এই ইউনিয়টিকে ভালবেসে নাম দিয়েছে ইতালি গ্রাম’।