শুক্রবার, ২৪শে মার্চ, ২০১৭ ইং ১০ই চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে কৃষিকাজে নারীর অংশ গ্রহন আশাতীত বেড়েছে

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১৮, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় নারী শ্রমিকরা কৃষিকাজে পুুরুষের সঙ্গে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষিকাজে নারীর এ অংশগ্রহণ নারীকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নারীরা এখন আর ঘরে বসে নেই। পুরুষের পাশাপাশি মাঠে কাজ করে যাচ্ছে দল বেঁধে। স্বামী সন্তানের পাশাপাশি জীবনের ভাগ্য তথা দেশের উন্নয়নের জন্য দল বেঁধে মাঠে কাজ করছে তারা। সংসার জীবন, পরিবার-পরিজন নিয়ে চলমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে। চরম কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে নারীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পুরুষকে সহযোগিতা করছে। ঘরে-বাইরে সমভাবে এগিয়ে এসেছে নারী। একটি সুন্দর স্বাবলম্বী সংসার নির্মাণে নারীর এই উদ্যোগ সময়ের দাবি। এ ছাড়া-শুধুমাত্র নারীদের নিয়ে কাজ করেন,দেশের সর্ববৃহত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন,বাঞ্ছারামপুর কার্য্যালয়ের প্রধান সমন্ধয়ক ও ইষ্টওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী জানান, ‘আমাদের অধীন কৃষক সদস্যা নারী প্রায় ১৩ হাজার ৯ শত।চক্রাকারে তারা সদস্যা হয়েছে।তাদের বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন সুদ মুক্ত ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে আসছে বহুবছর ধরে।
আমার জানা মতে, তারা এবছর প্রায় সবাই ধান ও শাক সবজির রোপন করেছে বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ধানের দাম বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকরা বোরো চাষে ঝুকে পড়েছে।তাতে নারীদের অংশ গ্রহন পুরুষের তুলনায় প্রায় সমপরিমান।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামের সন্তান বিশিষ্ট কৃষিবিদ মেহেদি হাসান পলাশ গ্রামীন জনপদে নারীর শ্রম ও অংশ গ্রহন প্রসঙ্গে বলেন,নারীরা এখন ধানী জমিতে স্বল্পমূল্যে মজুরী দিচ্ছে।খেটে খাচ্ছে।তারা এখন পুরুষ কৃষকের মতো মাহিন্দ্রর ট্রাক্ট্রর চালাতে শিখছে।সবজি ফলাচ্ছে। আর এ মৌসুমে বাঞ্ছারামপুরের কৃষক এ বছর গমের আবাদ না করে বোরো চাষ করছে। আর এ জন্য ধারণা করা হচ্ছে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৪শ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে। বর্তমানে আবহাওয়া যে ভাবে অনুকুলে রয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত এভাবে অনুকুলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন বাঞ্ছারামপুরের কৃষকরা।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুতফর নাহার খানম এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজনীতির পাশাপাশি নারীরা কৃষিতে অংশগ্রহন মূলক শ্রম বিক্রি করছে,তা আশাতীত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফসলি জমিতে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকরা বেশি কাজ করছে। ভূমিহীন পরিবারের পুরুষ শ্রমিকরা রিকশাভ্যান ও বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন জেলায় রুটি-রোজগারের জন্য চলে যায়। ফলে সংসারের খরচ চালানোর জন্য নারী শ্রমিকরা শ্রম বিক্রি করছে।  এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো.জামাল হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিস হতে নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এবং তাদের সার্বিক সহযোগীতা করছি আমরা। তিনি আরও বলেন, কৃষি প্রশিক্ষন নিয়ে অনেক নারী শ্রমিক স্বাবলম্বি হয়েছে ও হচ্ছে।