প্রসূতি ও শিশু চিকিৎসার উন্নয়নে জাতিসংঘে ‘হেলথ নেটওয়ার্ক’
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, মালাওয়ি, নাইজেরিয়া, তাঞ্জানিয়া, এবং উগান্ডার সরকার ২০২২ সালের মধ্যে প্রসূতি এবং নবজাত সন্তান মৃত্যুর হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য ধার্য করেছে তা বাস্তবায়িত করতে জাতিসংঘে ‘হেলথ নেটওয়ার্ক, গঠিত হলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং দ্য কোয়ালিটি অব কেয়ার নেটওয়ার্কের সমর্থনে মঙ্গলবার এই ‘হেলথ নেটওয়ার্ক’ গঠনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এই নেটওয়ার্কের কাজ হবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হেলথ ক্লিনিকসমূহে সন্তান সম্ভাবা মা, প্রসূতি, নবজাতক শিশুর চিকিৎসার উন্নয়ন ঘটানো। একইসাথে এসব মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা পাবার যে মৌলিক অধিকার রয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি সকল কর্মকর্তাকে স্পষ্ট ধারণা দেয়া।
নবগঠিত এই নেটওয়ার্কের অন্যতম সহযোগী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাতৃত্ব, নবজাতক এবং শিশু চিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ড. এন্থনী কোস্টেলো এ প্রসঙ্গে বলেছেন, নিজ কম্যুনিটির হেলথ ক্লিনিক অথবা অন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবার পর সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসার অধিকার রাখেন প্রতিটি মা ও শিশু।
এই নেটওয়ার্ক মাতৃত্বকালিন মা এবং নবজাতক সন্তানের চিকিৎসা-ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে জাতিসংঘ সংস্থার নতুন ৮টি পদ্ধতির ব্যবহার করবে। এর অন্যতম হচ্ছে যোগ্যতম এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করা, বিশুদ্ধ পানীয় ব্যবহারের ব্যবস্থা করা এবং চিকিৎসায় জরাজীর্ণ সামগ্রি ব্যবহার না করা। একইসাথে রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং চিকিৎসার তথ্য গোপন রাখতেও সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে।
ড. কস্টেলো উল্লেখ করেন, গত দশকে স্বাস্থ্য-সেবা কেন্দ্রসমূহে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এখন মনোযোগ দিতে হবে চিকিৎসার মানোন্নয়নে। আর এর মধ্য দিয়েই ২০৩০ সালের মধ্যে সন্তান সম্ভাবা মা, প্রসূতি, নবজাত এবং শিশু মৃত্যুর শূন্য নামিয়ে আনতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।