বুধবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ৩রা ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরের প্রধান শিক্ষিকার নামে  এইচএসসিতে ৩ সনদ !

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দেলোয়ারা বেগম নামের এক প্রধান শিক্ষিকার এইচএসসির ৩টি সনদ রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে এ সনদের সন্ধান পেয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর উপজেলার সরিষারচর-নতুনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে এইচএসসি সনদ জালিয়াতির অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী। এতে বলা হয়, সরিষারচর-নতুনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম এইচএসসি পরীক্ষার জাল সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি পান। সেই সময় তার ঊর্দ্ধতন প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম মিয়া ছুটিজনিত কারণে ট্রেনিংয়ে থাকায় তাকে সহকারী শিক্ষক দেখিয়ে দেলোয়ারা বেগম নিজে ভুয়া ও জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে নিজেই প্রধান শিক্ষক বনে যান।
পরে অভিযোগের তদন্ত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নওশাদ মাহমুদ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। ঐ তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৩ নভেম্বর ইউএনও বরাবর জমা দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর যাচাই-বাছাই ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ারা বেগম সহকারী শিক্ষক হতে প্রধান শিক্ষক পদোন্নতি পেতে যা যা করার তার সবই তিনি করেছেন। তিনি অফিসে জমা দিয়েছেন, তার এইচএসসি সনদপত্রের আইডি নম্বর, সিরিয়াল নম্বর, ভুল বানানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, রেজাল্ট প্রকাশের ভিন্ন ভিন্ন তারিখ, বোর্ডের ডেপুটি কন্ট্রোলারের ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর, ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ এবং জিপিএ ভিন্নতা।
এই অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম জানান, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমার সহকর্মীরা বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র আমার নামে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছে। আমি অসুস্থ, এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।”
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নওশাদ মাহমুদ বলেন, “একজন শিক্ষকের তিন ধরনের সনদ থাকতে পারে না। এবিষয়ে যাচাইয়ের উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বনিক বলেন, প্রধান শিক্ষিকার সনদ যাচাই করতে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপ্তরিক চিঠি পাঠিয়েছি। সনদ ভুয়া অথবা আসল তা এক মাসের মধ্যে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।