রবিবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৩শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরও ক্ষেপণাস্ত্র-রাডার পরীক্ষা করছে ইরান

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ইরানের সামরিক মহড়াযুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারির পরও শনিবার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার সিস্টেম পরীক্ষা নিয়ে মহড়া শুরু করেছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির একদিন পর এ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইরানের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের সেনাবাহিনী রেভ্যুলিউশনারি গার্ড (আইআরজি)-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেমনান প্রদেশে আয়োজিত হবে এ মহড়া। ইরানের বিপ্লবের শক্তি প্রদর্শন ও নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করা হিসেবেই এ মহড়া আয়োজন করা হচ্ছে। চলবে পাঁচদিন পর্যন্ত।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মহড়ায় দেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং সাইবার যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা থাকবে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারী একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হলো ‘৩ খোরদাদ’। ৭৫ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় আঘাত হানতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে অনেক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এ ছাড়া, সাইবার যুদ্ধ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোকাবেলা করতে সক্ষম এটি।

মহড়ার অন্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘তাবাস’। ৬০ কিলোমিটার পাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় আঘাত হানতে পারে। এটি সব ধরণের শত্রু লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া, ত্রিমাত্রিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাদির’ ১১০০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে আকাশ পথের যে কোনও হুমকি শনাক্ত এবং তার পেছনে ধাওয়া করতে পারে।

মাতলা-উল-ফজর নামের রাডার ব্যবস্থা ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে আকাশ পথের যে কোনও হুমকি শনাক্ত করতে পারে। শনাক্ত করতে পারে নানা ধরণের বিমান ও ড্রোন।

এদিকে, এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ওয়াশিংটন-তেহরান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাথিস শনিবার জানিয়েছেন, ইরানের এবারের ‘অবাধ্য আচরণের’ পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, ইরানের কর্মকাণ্ড বিশ্ব অগ্রাহ্য করবে না বলে।

উল্লেখ্য, বুধবার ইরান মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। ইরানের দাবি, এতে পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন হয়নি। তবে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এতে চুক্তির লঙ্ঘন হয়েছে। জরুরি সভায় মিলিত হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আর ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে ইরানের ওপর জারি করে নিষেধাজ্ঞা।