সুষ্ঠু নির্বাচন : অপেক্ষায় গোটা জাতি
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সব সময় সৎ, যোগ্য, মেধাবী, দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে। বিএনপি এর পাশাপাশি বলে নিদর্লীয় ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে আর আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের কথা এখন বলে না। এখন বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এমন ব্যক্তিদের কথা।
আজ নির্বাচন কমিশনে কাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কাদেরকে কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে সেই জন্য এই দুটি দলকে তাদের কথা বলা ও লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য নাম বাছাই করতে হয়েছে। তা করতে গিয়ে ছোটখাটো পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কারণ তারা যাদের কথা সব সময় বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দল মতের উর্ধ্বে উঠে পাঁচজনের নাম ঠিক করতে পারেন কিনা তা দেখতে হবে। বিএনপি বেলা এগারোটার পরই নাম দেওয়ার কথা। আর আওয়ামী লীগও নাম দিবে এর আগেই। তারা নাম দেওয়ার পর বোঝা যাবে তাদের বিচারে কারা যোগ্য। আর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কেবল নাম চাওয়ার জন্য চাওয়া হয়েছে নাকি সতিক্যার অর্থেই ওই সব নাম থেকে কাউকে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সার্চ কমিটি সুপারিশ করে তা দেখতে হবে।
সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার পর পরই একটি টেলিভিশনে টকশোতে বসেন। সেখানে সুলতানা কামাল বলেছেন, এর আগে জিল্লুর রহমানের সময়ে গঠিত সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম নিয়েছিল। তখন কোন দলের কাছ থেকে কোন নাম নেওয়া হয়নি। নিয়োগ দেওয়ার সময়ে ওই নামের বাইরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতবার আওয়ামী লীগ নাম দিলেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নাম দেয়নি। তবে এবার এই তিনটি দলই নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসাবে যেসব দল নাম দিবে তাদের নামের তালিকা থেকে কোন নাম শেষ পর্যন্ত সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠায় কিনা সেটাও দেখতে হবে।