সাক্ষ্য দিতে সাজেদা-আমু-তোফায়েলকে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো. রহুল আমিন এ আদেশ দেন।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিন আওয়ামী লীগ নেতা, নিহতের তিন স্বজন এবং চারজন প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সমন জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন গ্রহণ করে আগামী ১৫ মার্চ তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করে সমন জারি করতে বলেছেন।
সাজেদা চৌধুরী বর্তমান সংসদের সরকারি দলের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর দুই সদস্য আমির হোসেন আমু শিল্প মন্ত্রণালয় এবং তোফায়েল আহমেদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় নগরীর লালদিঘি ময়দানে সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ২৪ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ। তখন শেখ হাসিনার সঙ্গে চট্টগ্রামে এসেছিলেন এই তিন আওয়ামী লীগ নেতাও।
এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে প্রয়াত আইনজীবী শহীদুল হুদা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
অভিযুক্ত অন্যরা হল কোতোয়ালী জোনের তৎকালীন পেট্রল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে.সি. মন্ডল, পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মুশফিকুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, মো. আব্দুলাহ ও মমতাজ উদ্দিন। জে সি মণ্ডল ছাড়া অন্য সবাই উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছেন। ঘটনার পর থেকে জে সি মণ্ডল পলাতক।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০০০ সালের ৯ মে ৮ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর ১৭ বছর ধরে চলছে বিচার কার্যক্রম।