বরিশালে স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় আটক ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে স্কুলছাত্র সাইদুর রহমান হৃদয় গাজী হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার বিকেলে বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার এস এম রুহুল আমিন তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আটককৃতরা হচ্ছে, রাজু হোসেন মাঝি, সাঈদ আবেদীন আব্দুল্লাহ্ রাহাত, ইমন সিকদার, মুরাদ হোসেন, নুরুন্নবী নাহিদ, সৈয়দ ইয়াসিন শান্ত।
পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ছয়জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে সাঈদ ও রাজুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তারা ছয়জনই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুরাদ হোসেন মূল হোতা বলে জানা গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত সাইদুর রহমান হৃদয় গাজী। গত বছরের নভেম্বরে স্থানীয় কাউনিয়া স্কুলের এক দপ্তরিকে বিদ্রুপ করা নিয়ে সাইদুর রহমান হৃদয় ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একই শ্রেণির ছাত্র সাঈদ আবেদীন আব্দুল্লাহর বন্ধুদের মারামারি হয়। এ ছাড়া হৃদয় গাজীর বন্ধু আহাদ একই স্কুলের একটি মেয়েকে পছন্দ করত, যাকে সাঈদও কয়েকদিন আগে প্রেমের প্রস্তাব করে। এসব বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল।’
পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন আরো বলেন, ‘এরই জের ধরে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরেশ সাগরের মাঠে হৃদয়কে একা পেয়ে সাঈদ ও তার বন্ধুরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় হৃদয় গাজীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই হৃদয় মারা যায়।’
পরে ওই দিন রাতেই নিহত হৃদয়ের পিতা শাহীন গাজী বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম আজাদ,উপপুলিশ কমিশনার (সদর) হাবিবুর রহমান,উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুর রউফ খান,উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম কুমার পাল।