শিশু শিক্ষার্থীদের নাস্তা মাত্র ২টি চকলেট !
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : “শিক্ষার আলো জ্বালবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইলেও গতকাল জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের ব্যবস্থাপনায় সকালে অনুষ্ঠিত হয় র্যালি। আলোচনা সভার পর রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের হাতে সকালের নাস্তা হিসাবে দেওয়া হয় ৪ টাকা মূল্যের ২ টি চকলেট। দেড় ঘন্টায় শেষ হয়ে যায় মোট বাজেটের ২৩ হাজার ৫’শ টাকা। আজ সোমবার ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট ও সরাইল অফিসের পত্রানুসারে জানা যায়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালনে এ বছর প্রত্যেক উপজেলার বাজেট ৩৩ হাজার ৫শত টাকা। এরমধ্যে অংশ গ্রহনকারী ৫’শ জন শিশু শিক্ষার্থীর নাস্তা বাবদ বরাদ্ধ ৭ হাজার ৫’শ টাকা। অর্থাৎ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ১৫ টাকা সরকারি বরাদ্ধ। অথচ গতকাল সকালে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়েরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র্যালিতে সরাইল সদরের ৪-৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২-৩ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন সহকারি শিক্ষকও। সকাল ১০টায় শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসেই র্যালিটি শেষ হয়। র্যালিতে কমপক্ষে ৫০ টাকা মূল্যের ১০০টি প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন থাকার নির্দেশ থাকলেও মাত্র ১০-১২টি নজরে পড়ে। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদের সামনের খালি মাঠে দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ টি চকলেট। ২টি চকলেটেই নাস্তা সারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। সভা শেষে ৫০ জন অতিথি আপ্যায়নের কথা থাকলেও মাত্র ৪-৫ জন অতিথি আপ্যায়নেই শেষ হয়ে গেছে ২ হাজার টাকা। দৃশ্যমান কিছু না থাকলেও বাজেটে রয়েছে ১ জন কো-অর্ডিনেটরের (ইউইও) জন্য বরাদ্ধ ৬’শ, মাইক ভাড়া ১৫’শ, সহায়ক কর্মকর্তার জন্য ৫’শ, ২জন রিসোর্স পার্সনের (ডিপিও/এডিপিইও) জন্য ১৬’শ, রিসোর্স পারসনের যাতায়ত ভাড়া ২ হাজার, ১টি ব্যানার ৮’শ ও প্রশাসনিক ব্যয় ২ হাজার টাকা। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোট বরাদ্ধ ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা। এরমধ্যে গতকাল মাত্র দেড় ঘন্টায় শেষ হয়ে গেছে ২৩ হাজার ৫’শ টাকার বাজেট। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের প্রত্যেক শিশুকে নাস্তা বাবদ ২টি চকলেট দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অন্যান্য অতিথিসহ সার্বিক ব্যয়ে বরাদ্ধকৃত বাজেট খরচ হয়ে গেছে