জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি : প্রধানমন্ত্রী
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : জনগণের মাঝে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। কোমলমতি শিশুদের এখান থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। হলি আর্টিজানে নিহত পুলিশ সদস্যদের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুজন পুলিশ জীবন দিয়ে গেছে। কিন্তু তারা অনেকগুলো মানুষকে বাঁচিয়ে গেছে, দেশের সম্মান বাঁচিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে কর্তব্যবোধ যে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা যেন সুন্দর থাকে, সেদিকে নজর দিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর কোনো এক দেশের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ছিল- এই ঘটনা বাংলাদেশ সামাল দিতে পারবে না। সোশাল মিডিয়ায় স্টেটাস দিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারলাম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। তাতে মনে হলো, কেউ কেউ খুশি হতে পারল না। এ রকম হবে, আমরা তাদের কাছে আকুতি করব, অমুকের কাছে চাইব, এটা চাইব। কিন্তু আমরা বাঙালি, এখনো তারা চিনতে পারেনি যে আমরা পারি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এভাবে এগিয়ে যাবে, এটা অনেকে নিতে পারে না। আমাদের শত্রু বাইরের না। ঘরের শত্রুই বিভীষণ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বিগত সময়ে সহিংস আন্দোলন ও জঙ্গিবাদ সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই ধরনের চ্যালেঞ্জ আরও মোকাবিলা করতে হবে। আমার সব সময় চিন্তা হয়, যখনই বাংলাদেশর মানুষ ভালো থাকে, স্বস্তিতে থাকে, উন্নতি হয়, তখনই যেন ষড়যন্ত্র আরও বেশি শুরু হয়। তারা ২০১৩, ১৪, ১৫র মতো আবারও কিছু করবে না- এই আশঙ্কা থেকেই যায়। আবার তারা আঘাত করবে বা চেষ্টা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু ওই প্রশংসা শুনে মন গলা- এটা আমার স্বভাব না। সেখানে সন্দেহের কিছু আছে কি না, এটা আমাদের দেখতে হবে। ১৯৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় থেকে অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে, তাদের কাছে ক্ষমতাটাই সব। দেশ গোল্লায় যাক। কীভাবে দেশের ক্ষতি করবে, সেই চিন্তায় তারা থাকে।