সরাইলে আওয়ামীলীগ নেতার ওপর ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় সরাইলের শাহজাদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রুহুল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। রুহুল জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দেওড়া গ্রামে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আলী রাজা নামের এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে তার ওপর এ হামলা হয়। স্থানীয় লোকজন ও আহত ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়, শাহজাদাপুরের দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল ও তার বড় ভাই আনার মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছেন। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশেই বাড়ি করে বসবাস করছেন হাবিব মিয়া। আনারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন একটি জায়গার অবৈধ মালিকানা দাবী করে বসে আলী রাজার ভগ্নিপতি হাবিব মিয়া (৫৫)। এ জমির দখল পাওয়ার জন্য হাবিব মিয়া দীর্ঘদিন ধরে রুহুল ও আনারের সাথে দেন দরবার করে আসছেন। আগেও তাদের উপর একাধিকবার হামলার চেষ্টা চালানো হয়। ৮-৯ মাস আগে এলাকার প্রভাবশালী হাবিব মিয়া ও ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আলী রাজার নেতৃত্বে তাদের লোকজন রুহুল ও আনারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোর পূর্বক তালাবদ্ধ করে দেয়। তালা খুলার চেষ্টা করলে মারধর সহ রুহুলদের হত্যা করার হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিস্পত্তি করে ব্যবসা চালুর জন্য রুহুলরা দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। রুহুল বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ শে অক্টোবর হাবিব মিয়া (৫৫), আলী রাজা (৪০) সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। একই ধারায় মোঃ হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে রুহুলসহ ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। সাথে সাথে রুহুলের বিরুদ্ধে আরেকটি নারী নির্যাতন মামলাও দায়ের করে তারা। ইউপি সদস্য আলী রাজা এখন ওই মামলার অভিযোগ পত্রের অভিযুক্ত আসামী। এতেই রুহুলের উপর ক্ষুদ্ধ হয় হাবিব ও আলী রাজা। মামলা দায়ের করার প্রতিশোধের সুযোগ খুঁজতে থাকে আলী রাজা বাহিনী। এরজের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত রোববার দেওড়া পশ্চিম প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে হাবিব ও আলী রাজার নেতৃত্বে আলী হায়দার, আবুল মিয়া, নাজিম উদ্দিন, আলী উজ্জল, দুলাল মিয়া ও লিমন সহ কয়েকজন দা বল্লম চাপাতি চাইনিজ কুড়াল লাঠি নিয়ে উৎপেতে বসে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব দিক থেকে ঘটনাস্থলে আসা মাত্র তারা রুহুলের উপর হামলা চালায়। তাদের মারধরের কারনে রুহুল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা চলে যায়। লোকজন রুহুলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মাথায় দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।