বিচ্ছেদের পর মন স্বাভাবিক রাখতে
অনলাইন ডেস্ক: সম্পর্কের বিচ্ছেদের পর নিজেকে চার দেওয়ালের ভেতর বন্দি করে ফেলেছে। এই কাজটা বেশিরভাগ নারীরাই করে থাকেন। এই তালিকার ভেতর যদি আপনি বা আপনার কেউ থেকে থাকেন তাহলে তার জন্য নীচের পরামর্শগুলো কিন্তু উপকারে আসতে পারে।
মনের দুয়ার খোলা রাখুন: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার মানে এই নয়, সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি হোক বা পারিবারিক অনুষ্ঠান, অথবা আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ, একটু যাওয়ার চেষ্টা করুন। কে জানে, হয়তো সেখানেই পেয়ে যেতে পারেন আপনার মিঃ অথবা মিসেস রাইটকে।
নিজের চরকায় তেল দাও: কিছুদিন এমন মেজাজেই চলুন। অপ্রস্তুত হতে পারেন এমন অনেক প্রশ্নই বুলেটের মতো আসবে আপনার দিকে। ম্যাট্রিক্সের কায়দায় জাস্ট কাটিয়ে দিন৷সমান্তরালে কানের সদ্ব্যবহারের টাইম এসে গিয়েছে মনে করে এপার ওপার করে দিন যাবতীয় প্রশ্নবান। দেখবেন একটু হলেও হালকা লাগছে।
সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায়: একেবারের জন্য এমনটা করতে বলা হচ্ছে না। কিছুদিনের জন্য এটা করতে পারলে আখেরে আপনার মনই ভালো থাকবে। বন্ধুবান্ধবদের পার্টি, প্যাচ-আপ, বিয়ে এসব ছবি দেখা থেকে খানিক চোখকে বিরতি দিলে, মনেও তার ভালো প্রভাব পড়বে। পারলে বাছাই করা কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ইনডিভিজুয়ালি যোগাযোগ রাখুন।
নতুনের টানে: কোনও খোঁজ নয়, মনকে শুধু আরও একটু মেলে ধরুন। আরও অনেক বেশি সময় দিন বন্ধু-পরিবার-পরিজনকে। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন সুযোগ পেলে। নিজের প্রতিভা, যা প্রেমের চাপে বসে গিয়েছিল অথবা ধুলো পড়ে গিয়েছিল, সেগুলো একটু ঘষেমেজে নিন এই বেলা। কাজে থাকলে কিন্তু মন অনেক ভালো থাকে। বিশেষ করে তা যদি আপনার প্যাশন হয়, তাহলে তো কথাই নেই।
খানা-পিনা-আড্ডা: এক অব্যর্থ দাওয়াই কিন্তু খাবার। মন খারাপ থাকলে, একটু খাওয়াদাওয়া, আর আড্ডাতে মন সংযোগ করেই দেখুন, তবে তা অবশ্যই সীমার মধ্যে। আড্ডা, গসিপ, পিএনপিসি কিন্তু এসময়টা কাটিয়ে উঠতে অনেক সাহায্য করে৷ আর যদি শপিং ভালোবাসেন তাহলে তো কথাই নেই। আপনার মন একটু হলেও আরাম পাবে।