বাসায় বসে টিভি দেখে লড়াই হয় না, মেসিকে ম্যারাডোনা
স্পোর্টস ডেস্ক : ডিয়েগো ম্যারাডোনা থেকে লুইস ফিগো-জিনেদিন জিদান। রবার্তো কার্লোস-কাফু থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-সার্জিও রামোস। এক ছাদের নিচে ফুটবলের সেকাল-একাল। জুরিখে কাল রাতে সাবেক আর বর্তমান তারকাদের মেলাই বসেছিল। কিন্তু ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার রাতে ছিলেন না সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। ছিলেন না বার্সেলোনার কোনো খেলোয়াড়ই। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বার্সা। অনুষ্ঠানে থাকতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ক্লাবটির অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
অনুষ্ঠানে থাকতে না পারার কথা ফিফাকে একেবারে শেষ মুহূর্তে জানিয়েছিল বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল কোপা ডেল রের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠ থেকে প্রথম লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে এসেছিল তারা। বার্সার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগে তাই খেলোয়াড়দের ভ্রমণের ঝক্কি পোহাতে দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ।
রিয়াল ও ব্রাজিলের সাবেক ডিফেন্ডার কার্লোস বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর কথা, একই দিনে কোপা ডেল রের ম্যাচ তো রিয়ালেরও আছে, ‘রিয়াল মাদ্রিদেরও এই সপ্তাহে ম্যাচ আছে। কিন্তু তারা জুরিখে এসেছে। জয় পাওয়ার তাড়না দুই দলেরই একই রকম।’ মেসিদের অনুষ্ঠানে না দেখে খুব হতাশ হয়েছেন ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতা কার্লোস, ‘লিও আর তাঁর সতীর্থরা আসেনি বলে আমি ব্যথিত এবং হতাশ। বার্সেলোনার অসাধারণ সব ফুটবলার আছে আর আমরা আশা করেছিলাম তারা এখানে আসবে।’
বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড় কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা তো রীতিমতো ক্ষুব্ধ, ‘মেসিকে নিয়ে আমি হতাশ। বাড়িতে টিভির সামনে বসে থাকলে লড়াই করা যায় না। লড়াই করতে হলে মুখোমুখি হতে হয়।’
ফিফা ফিফপ্রো বর্ষসেরা একাদশে আছেন বার্সেলোনার চারজন—মেসি, ইনিয়েস্তা, লুইস সুয়ারেজ ও জেরার্ড পিকে। সতীর্থদের নিয়ে পুরস্কার নিতে যেতে পারেননি বলে খারাপ লাগছে ইনিয়েস্তার, ‘এই পুরস্কার অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করে সম্মানিত করায় আর বর্ষসেরা একাদশে রাখায় বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে ফিফা আর ফিফপ্রোকে ধন্যবাদ। আমাদের অনুপস্থিতির জন্য ক্ষমা চাইছি। আমাদের কোপা ডেল রেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে আমাদের।’ সূত্র: মার্কা, গোল ডটকম।